বৃহস্পতিবার , ১১ অক্টোবর ২০১৮ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি দর হারিয়েছে ১৭%

Paris
অক্টোবর ১১, ২০১৮ ৬:২৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতের মুদ্রা রুপির দরপতন চলছেই। দেশটিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ডলারের বিপরীতে রুপির প্রায় ১৭ শতাংশ দরপতন হয়েছে।

সোমবার প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য দাঁড়ায় ৭৪ রুপি। দেশটির ইতিহাসে এটিই রুপির সবচেয়ে নাজুক অবস্থা। খবর এনডিটিভি ও ইকোনমিক টাইমস।

শনিবারও ডলারের মূল্য ৭৪ রুপি ছুঁয়েছিল। তবে সেদিন লেনদেনের শেষভাগে রুপির মূল্য কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়। কিন্তু সোমবার প্রথমবারের মতো লেনদেন শুরু হয় ৭৪ রুপির ওপরে। এদিন ডলারের সমাপনী মূল্য দাঁড়ায় ৭৪ রুপি ৬ পয়সা।

টানা দরপতনে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে। রুপির আরও দরপতন হতে পারে- এমন আশঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশটির পুঁজিবাজার থেকে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

শেয়ার বিক্রির চাপে প্রায় প্রতিদিনই দেশটির শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হচ্ছে। গত সপ্তাহে দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে, যদিও সোমবার বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। তবে সেটি কতটা টেকসই হবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।

এদিকে রুপির দরপতন ঠেকাতে ভারত সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা ভারতীয় কোম্পানির ইস্যু করা বন্ডে বিদেশি বিনিয়োগকে সহজ করে দিয়েছে। অন্যদিকে কিছু বিলাসী পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে, যাতে সেগুলোর আমদানি কমে।

জ্বালানি তেলের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি ও বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে ডলারের বিপরীতে মূল্য হারাচ্ছে ভারতীয় রুপি। বিশ্বের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির দেশ ভারতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হয়, যার প্রায় পুরোটাই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতে হয় দেশটিকে।

বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশটির আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে হয়েছে ভারতকে। ইরানের তেল আমদানিতে দুই ধরনের সুবিধা পেত দেশটি।

প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধের শিকার ইরান আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে ভারতের কাছে তেল বিক্রি করত। এছাড়া তেল আমদানি মূল্যের একটি অংশ ডলারের পরিবর্তে রুপিতে পরিশোধ করতে পারত দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি কমানোর জন্য ঘাটতি মেটাতে হয় অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করে। তাতে গুনতে হয় বাড়তি মূল্য, আবার দামও শোধ করতে হয় ডলারে।

 

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য