সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
‘ট্রি ম্যান সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত সেই মেয়েটির সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হলো। বাংলাদেশি চিকিৎসকরা আজ মঙ্গলবার সার্জারির মাধ্যমে তার ত্বকে গজানো উদ্ভিদের ছাল-বাকল সদৃশ্য জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।
১০ বছর বয়সী শাহানা খাতুনকে সফল অস্ত্রোপচার হয় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে। তার মুখ, কান ও নাকে এগুলো গজায়।
শাহানার চিকিৎসা ও অপারেশন বিনামূল্যে করা হয়েছে। ট্রি ম্যান সিনড্রোম বা এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরোসিফর্মিসে আক্রান্ত তিনিই প্রথশ নারী। তবে আদৌ তা ট্রি ম্যান সিনড্রোম কিনা তা নিশ্চিত হতে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
এটা এক বিরল রোগ। গোটা বিশ্বে জানামতে আধা ডজন মানুষ এর রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম ট্রি ম্যান সিনড্রোম দেখা দেয় ২৭ বছর বয়সী রিক্সাচালক আবুল বাজেন্দারের।
হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সামান্তা লাল সেন জানান, অপারেশন সফল হয়েছে। তার মুখ থেকে আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবো বলে আশা করছি।
এ রোগের একবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলে শাহানা। কাজেই আশা করা যায়, তার আর অস্ত্রপচার প্রয়োজন হবে না। চিকিৎসকরা আশার কথা শুনিয়েছেন। জানান, শাহানা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
শাহানার বাবা মোহাম্মাদ শাহজাহান সফল অস্ত্রোপচারের খবরে দারুণ খুশি। বললেন, ডাক্তারা বলেছেন শাহানা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। আমি তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং স্কুলে পাঠানোর অপেক্ষায় আছি।
এর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই গত বছর বাজেন্দারের অপারেশন করা হয়। তার দেহে বিপুল পরিমাণ অবাঞ্ছিত অংশ গজায়। দেহ থেকে ১১ কেজি পরিমাণ অবাঞ্ছিত অংশ সরাতে ১৬ বার অস্ত্রোপচার করা হয়।
তার এই বিরল রোগের খবর গোটা দেশেই রটে যায়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এখন বাজেন্দার পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের স্পর্শ করতে পারেন। স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য প্রস্তুত তিনি।
সূত্র: কালের কন্ঠ