টাইগারদের বোলিং কোচ হবেন কিনা প্রশ্নে যা জানালেন সুজন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চলমান বিপিএলের মাঝে হঠাৎই খবরের শিরোনামে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দলটির পেস বোলিং কোচের দায়িত্বে থাকা চার্লস ল্যাঙ্গেভেল্ট ইস্তফা দিয়েছেন ইতিমধ্যে।

যে কারণে জাতীয় দলে এই কোচের শূন্যতা পূরণ নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন বিসিবি কর্তৃপক্ষ।

তবে এ নিয়ে কপালে চিন্তার কোনো রেখাই পড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান বোর্ড টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের।

ল্যাঙ্গেভেল্টের হঠাৎ চলে যাওয়াকে বিসিবি ও জাতীয় দলের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করেন না তিনি।

কোচ আসবে কোচ যাবে; সবসময় বিদেশি কোচ দিয়ে কাজ চালাতে হবে এমনটি নয়, স্থানীয় কোচদের কাজের সুযোগ করে দেয়া যেতে পারে। প্রোটিয়া কোচের হঠাৎ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য সুজনের।

শুধু তাই নয়; ল্যাঙ্গেভেল্টের শূন্যস্থান পূরণে তিনি নিজেও বোলিং কোচ হতে আগ্রহী বলে জানালেন সাবেক এ ক্রিকেট তারকা।

এ মুহূর্তে বিপিএলে খুলনার টিম ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন খালেদ মাহমুদ।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের অনুশীলনের সময় বেলা ১১টার পর তাকে পেয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন ছুড়েন সাংবাদিকরা।

চার্লস ল্যাঙ্গেভেল্টের প্রসঙ্গ উঠতেই সুজন বলেন, ‘ল্যাঙ্গেভেল্টের চলে যাওয়া জাতীয় দলের জন্য খুব যে বড় বেশি ধাক্কা আমি মনে করি না। আমাদের ছেলেরা অনেক কোচের অধীনেই ছিল। কোচ আসেন, চলেও যান– এটিই নিয়ম। ছেলেরা এ বিষয়ে অনেক পরিপক্ব।’

তবে দ্রুতই বোলিং কোচে কাউকে নিয়োগের পক্ষে তিনি।

সুজন বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একজন বোলিং কোচ লাগবে। দ্রুত এ শূন্যতা পূরণ করবে বিসিবি। তাই হয়তো গ্যাপটা থাকবে না। দলের প্রধান কোচ আছেন, ম্যানেজমেন্টও আছে।’

এভাবে দ্রুত কোচ পরিবর্তন হয়ে যাওয়াটা দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে কি? জাতীয় দলের খেলার মান বাড়াতে কোচদের দীর্ঘ মেয়াদে রাখাটা তো প্রয়োজন। এমন প্রশ্নে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি দীর্ঘমেয়াদি কোচের পক্ষে। এটি আগেও বলেছি। একটা দল গোছাতেও সময় লাগে। তাই লম্বা সময় হলে অবশ্যই ভালো।’

কিন্তু সবসময় পরিকল্পনামতো কাজ হয় না বলেও জানালেন তিনি। তিনি যোগ করেন, ‘সব চুক্তিপত্রেই কিন্তু এমন (শর্ত) থাকে। আবার একটা শর্তও থাকে দুপক্ষই কোনো সমস্যা থাকলে নোটিশ দিয়ে টার্মিনেশন করতে পারবে।’

এখন চার্লস ল্যাঙ্গেভেল্টের শূন্যতা পূরণে খালেদ মাহমুদ সুজনকে ডাকা হলে তিনি দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কিনা এমন প্রশ্নে সাবেক এই মিডিয়াম পেস বোলার বলেন, ‘সুযোগ পেলে তো সবাই আগ্রহী হবে। আমার পেশা তো কোচিং, আগ্রহের ব্যাপার অবশ্যই আছে। এর আগেও দুবার আমি বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি, যদিও বলাই ছিল– সেটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তার পরও যখন থাকি কিংবা ফল খারাপ হয়, তখন মনটা খারাপ লাগে।’

তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ দলকে আমি খুব কাছ থেকে দেখি, খেলোয়াড়দের সক্ষমতা-পারদর্শিতার বিষয়ে বেশ ভালো জানি। আবার এটিও দেখতে হবে, বিদেশি কোচ এলে ছেলেদের মধ্যে যে উত্তেজনা কাজ করে, সেখানে স্থানীয় কোচদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু।’

খুলনার প্রধান কোচ জেমস ফস্টারের উদাহরণ দিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা ভালো কোচিং করাচ্ছে, তাদের একটা সুযোগ দেয়া যেতে পারে। ২০১৮ সালে খেলা ছেড়েই এখন বিপিএলের হেড কোচ জেমস ফস্টার। এ সুযোগ আমাদের ছেলেদের নেই। তাই স্থানীয় কোচদের তুলে এনে কাজের সুযোগ করে দেয়া উচিত বিসিবির।’