টরকী বন্দরে ফিল্মি স্টাইলে অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে গণডাকাতি

বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ গৌরনদীর টরকী বন্দরের রায়পট্টিতে পাহারাদারসহ অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে গণডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। জানা যায়, ২৫-৩০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ প্রায় ৩০ লাখ টাকা ও ৩৫ কার্টন সিগারেট লুট করে নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডাকাতরা ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি করে পালরদী নদী দিয়ে দুই ভাগ হয়ে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়। বিগত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। বন্দরে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

আজ রবিবার সকালে সরেজমিনে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পালরদী নদীর তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দরে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রায়পট্টিতে ২৫/৩০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ৬ জন পাহারাদার, বন্দরে চলাচলরত ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও পথচারীসহ অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে জিম্মি করে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালায়। বন্দরের এই এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেশি। ডাকাতরা নগদ ৩০ লাখ টাকা ও ৩৫ কার্টন সিগারেট লুট করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ডাকাতদলের সদস্যদের বেশিরভাগই শর্টপ্যান্ট, গেঞ্জি ও মুখোশ পরে ছিল। ডাকাতরা যাওয়ার পথে বিভিন্ন পথচারীকে মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাত ৪টার দিকে ডাকাতদল দুটি ভাগ হয়ে পালরদী নদী দিয়ে ট্রলারযোগে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

টরকী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য রাজু আহম্মদ হারুন বলেন, অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, সিগারেট লুট করা হলো। বন্দরের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

বন্দরের ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম জানান, টরকী বন্দরে শুক্রবার সাপ্তাহিক হাট ছিল। শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা যার যার প্রতিষ্ঠানেই ছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) আ. রব হাওলাদার  জানান, টরকী বন্দরের রায়পট্টির কয়েকটি দোকানের তালা ভেঙে ডাকাতদল নগদ টাকা লুট করে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়। আমরা সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং পুলিশের একাধিক টিম এ বিষয়ে কাজ করছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ