জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের কালাইয়ে ৭ম শ্রেণীর মাদ্রাসা পড়–য়া এক ছাত্রীকে তার বন্ধু প্রলোভন দেখিয়ে বগুড়ার মহাস্থান গড় এলাকায় বেড়াতে নিয়ে গিয়ে দু’দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে অসুস্থ্য অবস্থায় ওই ছাত্রী তার বাড়ীতে ফিরে আসলে পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই ঘটনায় বুধবার মাদ্রাসা ছাত্রীর মা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ধর্ষক রুবেলকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার বিবরণ এবং পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সে ধুনট গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে। গত শুক্রবার সকালে কালাই শহরে একটি দর্জির টেইলার্সে পূর্বে তৈরি করতে দেওয়া বোরকা নিতে এসে তার বন্ধু একই উপজেলার মাদাই গ্রামের আফছার আলীর ছেলে রুবেল (২১) এর প্রলোভনে পড়ে বাড়ীতে না গিয়ে তার সাথে বগুড়ার মহাস্থান গড়ে বেড়াতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর রুবেল তাকে একটি বাড়ীতে আটকে রেখে দু’দিন ধরে ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ্য অবস্থায় ওই ছাত্রী তার বাড়ীতে ফিরে আসলে পরিবারের লোকজন তার নিকট থেকে শুনে চিকিৎসার জন্য তাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসকরা তার শাররিক অবস্থা বুঝে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। বর্তমানে সে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ধর্ষক রুবেলের সঠিক পরিচয় না পাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েন ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন। ফলে তারা ঘটনার পরপরই থানায় অভিযোগ করতে পারেনি। বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর মা ধর্ষকের মোবাইল নম্বর নিয়ে উপস্থিত হন কালাই থানায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কৌশলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। একপর্যায়ে ধর্ষক রুবেল কালাই পৌর শহরের পাঁচশিরা বাজার এলাকায় তার সাথে দেখা করতে আসলে পুলিশ কৌশলে তাকে গ্রেফতার করেন।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ খান জানান, গ্রেফতারের পর রুবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছে।
স/শা
