একসঙ্গে এত কবর খুঁড়তে হবে কল্পনাও করিনি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চল্লিশ বছর ধরে কবর খুঁড়ে আসছি। একসঙ্গে এত কবর খুঁড়তে হবে তা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। গ্রামে এত কবর খোঁড়ার লোকও নেই। আশপাশের এলাকা থেকে ২০-২৫ জন মানুষের সহযোগিতায় কবর খুঁড়তে হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই কবরস্থানে পাশাপাশি আটটি কবর খোঁড়ার কাজে সম্পৃক্ত বৃদ্ধ ওমর সেখ (৬৮) অশ্রুসজল চোখে কথাগুলো বলছিলেন।

মুলিবাড়ি গ্রামের খোকন শেখ, বাঐতারার আব্দুল মোমিন ও কাদাইয়ের আনোয়ার হোসেন বলেন, জীবনে অনেক কবর খুঁড়েছি। অনেক অভিজ্ঞতাও আছে আমাদের। কিন্তু একসঙ্গে আটটি কবর খোঁড়ার অভিজ্ঞতা নেই। এবারই প্রথম।

তারা আরও বলেন, বুকে অনেক চাপা কষ্ট নিয়ে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কবরগুলো খুঁড়েছি। এই গ্রামে আমরা ৭-৮ জন কবর খোঁড়ার কাজ করি। আমাদের পক্ষে এত কবর খোঁড়া সম্ভব ছিল না। পার্শ্ববর্তী বাঐতারা, ছাতিয়ানতলী, দিঘলকান্দি মুলিবাড়ী গ্রামের ১৫-২০ জন কবর খোঁড়ার কাজে সহযোগিতা করায় সুষ্ঠুভাবে কবর খোঁড়ার কাজ করতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে কাদাই গ্রামের একটি টং ঘর ১০-১২ জন মিলে মাথায় করে পার্শ্ববর্তী খাল পাড় করার সময় পিডিবির ঝুলে পড়া বিদ্যুতের তার টং ঘরের টিনের সঙ্গে লেগে কেটে যায়। এতে টং ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়লে টং ঘরসহ ৯ জন পানিতে পড়ে গিয়ে ৮ জন নিহত হন। অপর একজন সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।