জয়পুরহাটে শুক্রবার থেকে শপিং মল ও বিপণি বিতান বন্ধ ঘোষণা 

এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট:
নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত না করে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের শর্ত না মানায় আগামীকাল শুক্রবার (১৫ মে) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলার সব শপিং মল, মার্কেট ও বিপণি বিতান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে জরুরি সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সর্ব-সম্মতিক্রমে আগামীকাল শুক্রবার থেকে জেলার সকল বিপনীবিতান ও শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জরুরী সভায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার সালাম কবির, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আরিফুর রহমান রকেট, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব এস,এম সোলায়মান আলী, পৌর মেয়র জনাব মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক, সাবেক মেয়র জনাব আবদুল আজিজ মোল্লা, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ারুল হক আনু, প্রেসক্লাবের সভাপতি নৃপেন্দনাথ মন্ডল,সাধারণ সম্পাদক খ,ম আবদুর রহমান রনি, আওয়ামীলীগ নেতা নন্দলাল পার্শী সহ অন্যরা।

সভায় বক্তারা বলেন, জেলায় লকডাউনের মধ্যেও মানবিক বিবেচনায় সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আধাবেলা শপিং মল ও বিপণি বিতানগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির কোনও তোয়াক্কা না করে ক্রেতা-বিক্রেতা বেচাকেনা করছেন যে যার ইচ্ছেমতো। এতে জেলায় করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী নেতাদের সম্মতিতে শুক্রবার থেকে জেলার সব শপিং মল,মার্কেট ও বিপণি বিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারাসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক গনবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট জরুরি সেবা যেমন ফার্মেসি সার্বক্ষনিক খোলা থাকবে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কৃষি পণ্য পরিবহনে যানবাহনের আওতামুক্ত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং কাঁচাবাজারের দোকান সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে।

ঈদ উপলক্ষে জনসাধারণের সুবিধায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ কয়েকটি শর্তে শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতানসহ দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে গত চার দিনে ক্রেতা-বিক্রেতার প্রায় ৯৫ ভাগই স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স/অ