জোকস: কাকে কীভাবে ফাঁসাতে হয় এটা আমার মুখস্ত, ম্যাডাম…

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এক অনুষ্ঠানে অসাধারণ সুন্দরী এক তরুণী উপস্থিত হয়েছে। সাক্ষাৎ সিনেমার নায়িকা। নারী-পুরুষ সবাই চোরা চোখে মেয়েটির রূপের ঝলক দেখছিল। মন্টুর বাপ তখন টগবগে যুবক। তারও লোভ হলো অপ্সরীর সঙ্গে পরিচিত হতে।

স্মার্ট ভঙ্গিতে কাছে গিয়ে প্রথম প্রশ্নটা করেই ফেললো মন্টুর বাপ: আপনার পাশে বসলে আপত্তি নেই তো?

রূপসী ঝট করে তার দিকে তাকিয়ে ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বললো: ছি ছি! আপনি এ কি বলছেন? আপনার কি ঘরে মা-বোন নেই? সুন্দরী দেখলেই এমন হয়ে যায় পুরুষরা? আমাকে বলছেন আপনার সঙ্গে রাত কাটাতে?

মন্টুর বাপের অবস্থা হলো বেত খাওয়া কুত্তার মতো। আশপাশে উপস্থিত সবাই চোখ বড় বড় করে তোকিয়ে আছে তার দিকে। কী জবাব দেবে এমন বেকায়দা আক্রমণের? চরম অপ্রস্তুত অবস্থায় মেয়েটির কাছ থেকে হেঁটে দূরে এক চেয়ারে গিয়ে বসলো। কানদুটো লাল হয়ে গেছে লজ্জায়।

তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়েটি তার দিকে এগিয়ে আসলো। ভূ্বন ভোলানো হাসি দিয়ে বললো: মাফ করবেন। আমি সাইকোলজির স্টুডেন্ট। তাই আমি জানি কীভাবে কাউকে খামোখাই বোকা বানানো যায়। এর মজাই আলাদা।

মন্টুর বাপ লাফিয়ে উঠে চিৎকার করে উঠলো: কী বলছেন? এক রাতের জন্য দশ লাখ টাকা? ইম্পসিবল…

সুন্দরী থ! তার মুখ হাঁ হয়ে গেছে। দম বন্ধ হওয়ার দশা। আশপাশের সবাই এবার মেয়েটির দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। এর আগে এরাই চেয়েছিল মন্টুর বাপের দিকে। মেয়েটি মাথা নিচু করে দরজার দিকে হাঁটা দিল।

মন্টুর বাপ দৌড়ে মেয়েটির কাছে গিয়ে কানে কানে বলল: এক ব্যারিস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলাম ৫ বছর। তাই কাকে কীভাবে ফাঁসাতে হয় এটা আমার মুখস্ত, ম্যাডাম…

(২)

বন্ধু ঘরে আসতেছে এই খবরে চরম আতঙ্কিত হয়ে ঝন্টু দামি মোবাইল ফোন, জ্যাকেট, জুতো, জামা সব লুকিয়ে রাখতেছে। ঘটনা দেখে অবাক চাকরের প্রশ্ন: স্যার ঘটনা কী? আপনার বন্ধু কি চোর নাকি?

ঝন্টু: আরে না। চোর হতে যাবে কেন!

চাকর: তাইলে সবকিছু লুকাইতাছেন কেন?

ঝন্টু: এইগুলি তার ঘর থেকেই এনেছিলাম।

চাকর: তো সমস্যা কী, স্যার?

ঝন্টু: আরে গর্দভ! ওকে না বলে এনেছিলাম।