দুর্গাপুরে ব্যাপক হারে মসুর চাষ: অজ্ঞাত রোগে বিপাকে চাষিরা

গোলাম রসুল, দুর্গাপুর:
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে এবছরেও ব্যাপক হারে মসুর চাষ হয়েছে। মসুর চাষে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ায় মুলত চাষিরা মসুর চাষ করে থাকে। তবে গত বছরের মত এবছরে বেশি ভাগ এলাকায় মসুর গাছ গুলো লাল বর্ণের হয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে ওইসকল মসুর চাষিরা তাদের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তয় পড়েছেন।

চাষিরা বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যাবহার করেও সুফল পাচ্ছে না। এমনকি উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে তেমন কোন প্রকার পরার্মশ পচ্ছে না বলে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক চাষিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, এবার দুর্গাপুর উপজেলা জুড়ে কৃষকরা টোরী-১.২.৩ ও ৪ যাতের মসুর বেশি চাষ করেছেন। এই উপজেলায় এবার ১হাজার ২৫০হেক্টোর জমিতে মসুর চাষ হয়েছে। উপজেলার জয়নগর, দেলুয়াবাড়ী, ঝালুকা, মাড়িয়া, নওপাড়া, কিশমত গনকৈড়, পানানগর ও পৌর এলাকায়র কয়েকটি গ্রামে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উচু ও সমতল জমিতে এবার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের মসুর চাষ করেছে। বিগত দিনে ভালো দাম পাওয়ায় এবছরেও ভালো দামের আশা মূলত মসুর চাষ করেছেন চাষিরা।

উপজেলার কানপাড়া গ্রামের মসুর চাষি জহুরুল হক বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি ৫ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করেছেন। গতবছরে ৭ বিঘা জমিতে মসুর রোপন করেছিলেন। দাম ভালো পাওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে তুলনামুল মসুর চাষ লাভ জনক ফসল হওয়ায় এবছরে তিনি ৫ বিঘা জমিতে মসুর রোপন করেছেন। আবওহাওয়া অনুকুলে থাকায় মসুরের গাছ গুলো বেশ সতেজ হয়ে উঠেছিলো। হঠাৎ করে অজ্ঞাত রোগের কারণে তার রোপনকৃত ৫ বিঘার মাধ্যে প্রায় ২ বিঘা জমির মসুর গাছ মরে গেছে। কোন প্রকার বালাইনাশক ব্যবহার করে কোন সুফল পাচ্ছেন না তিনি।

বহরমপুর গ্রামের আলামিন বলেন, তিনি গত বছরে দেড় বিঘা জমিতে মসুর চাষ করে লাভবান হওয়ায় তিনি এবার তিনি প্রায় ২ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করেছেন। ২ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করতে জামি চাষ,সেচ, ঔষদ, সার, বীজসহ সবমিলীয়ে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪হাজার টাকা। আর দুই বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত মসুর পাওয়া যাবে প্রায় ১০ থেকে ১২মণ। আর সেই মসুর থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তবে তার রোপনকৃত মসুর গাছ গত দুই সপ্তাহ থেকে মারে যেতে শুরু করেছে বলে জানান।

এদিকে দুর্গাপুর চৌবাড়ীয়া গ্রামের আফজাল হোসেন জানান, তারা প্রায় দুই বিঘা জমিতে মসুর রোপন করেছিলেন। রোপনের পর মসুর গাছ গুলো বেশ সুন্দর হয়ে উঠেছিলো। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে মসুর গাছগুলো লাল হয়ে মরে যাচ্ছে বর্তমনে মসুরের গাছগুলো মরে যেতে যেতে জমি ফাকা হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার ঔষদ ব্যাবহার করেও সুফল পাচ্ছেনা তারা।

এবিষয়ে কৃষি বিভাগের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন চাষিরা।

স/অ