কাজী কামাল হোসেন,নওগাঁ :
নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত র্যাবের ১১ জন সদস্যকে র্যাব-৫ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। ওই ১১ জনের মধ্যে একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্যান্য সদস্য ও গাড়িচালকও রয়েছেন।
এর আগে যুগ্ম সচিব এনামুল হকের করা মামলায় ১নং আসামি আল আমিন (৩২) র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে বুধবার বিকালে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৩ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। গত সপ্তাহে আটকের পর ওই নারীর মৃত্যু হলে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে পরিবার। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিল।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জেসমিনকে আটকের সঙ্গে জড়িত র্যাব সদস্যদের ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে বলে জানান। এরপর জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২২ মার্চ ওই অভিযানে যারা ছিলেন, সেই ১১ জনকে তদন্তের প্রয়োজনে র্যাব-৫ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। ওই ১১ জনের মধ্যে একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্যান্য সদস্য ও গাড়িচালকও রয়েছেন।
র্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, ওই ঘটনা তদন্তে র্যাব সদর দপ্তর গঠিত কমিটি এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছে। কমিটি এই অভিযানে যুক্ত প্রত্যেক র্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে।
আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। পরিবারের অভিযোগ, র্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব বলছে, ৪৫ বছর বয়সী ওই নারীকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
র্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায় হাইকোর্ট জেসমিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছে। র্যাবের কে কে জিজ্ঞাসাবাদে ছিল, তাও জানতে চেয়েছে। জেসমিনকে আটকের পর তাকেসহ আরও এক যুবককে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।
এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “যখন তাকে ধরা হয় তখন তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের আগে তার মৃত্যু হয়েছে। এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো দোষ দেখছি না।”
এদিকে যুগ্ম সচিবের করা মামলায় আসামির তালিকায় আল আমিনের নাম রয়েছে উল্লেখ আল আমিনকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই যুবক নওগাঁয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট এবং ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নামে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকদের সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে র্যাব দাবি করেছে।
যুগ্ম সচিব এনামুল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত। তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে। আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাতে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।
জেসমিনকে আটকের পর আল আমিনসহ তাকে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল। র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। পরিবারের অভিযোগ, র্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব বলছে, ৪৫ বছর বয়সী ওই নারীকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এনামুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে তার সম্মুখেই জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল জানিয়ে র্যাব বলছে, প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা জেসমিন স্বীকারও করেছিলেন। এদিকে র্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায় হাই কোর্ট জেসমিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছে। র্যাবের কে কে জিজ্ঞাসাবাদে ছিল, তাও জানতে চেয়েছে।