সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব জামান ভুলু পড়েছেন বিপাকে। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের কেউই রোববার বাছাইকালে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে মাহবুব জামান ভুলু কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জেলা ও মহানগরের নেতারা উপরে উপরে ভুলুকে সাহস দিলেও ভেতরে ভেতরে বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এ বিষয়টি ভুলু টের পেলেও কিছু বলতে পারছেন না। তবে ভুলুর চেয়ে এগিয়ে আছেন মোহাম্মদ আলী সরকার। দলীয় নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ মোহাম্মদ আলী সরকারের পক্ষে ভিতরে ভিতরে কাজ করছেন। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেয়র ও সদস্যরাও ক্ষুব্ধ ভুলুর ওপর। এতে করে বিপাকেই আছেন ভুলু।
সংশ্লিষ্ট দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ও রোববার দুই দফায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে দলীয় নেতারা দুই দফায় বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু জেলার নেতাদের আহ্বানে সাড়া দেননি এই বিদ্রোহী প্রার্থী।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন; কিন্তু তিনিও নির্বাচন থেকে সরে আসতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমরা দুই বিদ্রোহীর সঙ্গে দেখা করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তারা নির্বাচন করার ব্যাপারে অনঢ় রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রকে জানানো ছাড়া এখন আমাদের কিছু করার নেই।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করার প্রসঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, জেলার নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন তবে তিনি নির্বাচন করবেন।
মোহাম্মদ আলী সরকারও নিজের অবস্থানে থেকে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটে জিতবেন।
উল্লেখ্য, এই দুই বিদ্রোহী প্রার্থী রাজশাহীতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছিলেন। দলীয় নেতাকর্মীরা আরও জানান, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের অনেকেই উপরে উপরে দলীয় প্রার্থী ভুলুর জন্য ভোট চাইতে নামলেও ভেতরে ভেতরে দুই বিদ্রোহীকে সমর্থন দিচ্ছেন।
পাশাপাশি রাজশাহীর ৬ এমপিরাও ভেতরে ভেতরে সদস্য প্রার্থীদের জন্য ভোটারদের বলছেন; কিন্তু ভুলুকে ভোট দিতে বলছেন না। বরং তারা দুই বিদ্রোহীর যার পাল্লা ভারি হবে তাকেই সমর্থন দেবেন। শেষ পর্যন্ত দুই বিদ্রোহী নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে ভুলুর পক্ষে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হবে বলেও মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলীয় প্রার্থী মাহবুব জামান ভুলু বলেন, দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি দলের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
স/আর