জিকে শামীমের বিরুদ্ধে ৩ মামলা হচ্ছে গুলশান থানায়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

শনিবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. সাদেক বলেন, জিকে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানিলন্ডারিংয়ে তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ জিকে শামীমকে আটক করে র‌্যাব।

এর আগে একই দিন ভোর ৬টায় সিটি কর্পোরেশনের লোক বলে জিকে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে সাদা পোশাকে প্রবেশ করেন র‌্যাব সদস্যরা।

এসময় শামীমের ৭ দেহরক্ষীকে আটক করে র‌্যাব।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিকেতনের নিজ কার্যালয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ আটক হন জিকে শামীম। এ সময় র‌্যাবের অভিযানে তার কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা ও এফডিআর উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, অভিযানে শামীমের কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নগদ ১ কোটি ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এ ছাড়াও ৭টি শটগান, বিদেশি মুদ্রা ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জি কে শামীমকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, যদি তিনি নির্দোষ হন, তাহলে কোর্টে এগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি, কোর্টে তার বক্তব্য সঠিক হলে তিনি ছাড়া পাবেন।

অস্ত্রের বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেসব ভঙ্গ করেছেন তিনি।