জামাতে নামাজ আদায়ে ২৫ গুণ বেশি সওয়াব

একজন মুসল্লি হলে ইমামের যে পাশে দাঁড়াবে : দুজন মুসল্লি নিয়েও সালাতের জামাত করা যায়। এ সময় ইমাম বাঁয়ে দাঁড়াবে এবং মুক্তাদি ডানে। তিনজন মুসল্লি হলে ইমাম সামনে এবং দুইজন মুক্তাদি পেছনে দাঁড়াবে। তবে বিশেষ কারণে ইমামের দুই পাশে দুজন সমান্তরালভাবে দাঁড়াতে পারেন। মুসল্লি বেশি হলে অবশ্যই পেছনে কাতার বৃদ্ধি করবে।

জামাতে নামাজের সওয়াব : জামাতে সালাত আদায় করা বেশি ফজিলতপূর্ণ। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, জামাতে সালাত আদায়ের ফজিলত একাকী সালাত আদায় অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি। যদি লোকসংখ্যা বেশি হয়, তাহলে মসজিদে যে পরিমাণ লোক থাকবে ততগুণ বেশি সওয়াব পাবে। একজন লোক জিজ্ঞেস করল, যদি লোকসংখ্যা ১০ হাজার হয়? তিনি বলেন, হ্যাঁ, ৪০ হাজার হলেও। (ইবনু আবি শায়বা, হাদিস : ৮৪৮৫)

অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জামাতে সালাতের ফজিলত একাকী আদায়কৃত সালাতের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৫)

বেশি মুসল্লি হলে বেশি সওয়াব : জামাতে যত মুসল্লি হবে, তত সওয়াব হবে। উবাই বিন কাব (রা.) বলেন, একদা রাসুল (সা.) ফজর সালাতে আমাদের ইমামতি করেন। অতঃপর আমাদের দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করলেন, অমুক উপস্থিত, অমুক উপস্থিত, অমুক উপস্থিত? এভাবে তিনজনের নাম উল্লেখ করলেন। প্রত্যেকে জবাবে বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বলেন, ফজর ও এশার সালাত মুনাফিকদের ওপর সবচেয়ে ভারী। মানুষ যদি জানত এ দুই সালাতে কিরূপ নেকি আছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে অংশগ্রহণ করত। জেনে রেখো, সালাতের প্রথম কাতার ফেরেশতাদের কাতারের মতো। তোমরা যদি প্রথম কাতারের ফজিলত জানতে তাহলে অবশ্যই দৌড়ে যেতে। আরো জেনে রেখো, দুজনে জামাতে সালাত আদায় করা উত্তম একা সালাত আদায় করার চেয়ে। তিনজনের জামাত দুজনের জামাত অপেক্ষা উত্তম। জামাতে মুসল্লি যত বেশি হবে, আল্লাহর কাছে তা তত বেশি প্রিয় হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)

জামাতে আসার প্রতি কদমের বিনিময়ে সওয়াব : জামাতে সালাত আদায়ের সওয়াব দেওয়ার ক্ষেত্রে দূরত্ব ও পায়ের কদমেরও হিসাব বিবেচনায় আনা হবে। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, (মসজিদ থেকে) যে যত বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে সালাতে আসে, তার তত বেশি সওয়াব হবে। আর যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে সালাত আদায় করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার সওয়াব ওই ব্যক্তির চেয়ে বেশি, যে একাকী সালাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫১)

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ