জহির করিমের গল্পে এনটিভিতে ‘তাহাদের গল্প’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক জহির করিম। দীর্ঘদিন ধরেই নাটক লেখায় সরব তিনি। উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় রোমান্টিক নাটক।

এবার এনটিভিতে প্রচার হতে যাচ্ছে তার লেখা নতুন নাটক ‘তাহাদের গল্প’।

অমিতাভ আহমেদ রানা ও সুব্রত মিত্রের যৌথ পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তারিন জাহান, নাবিলা ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া তানভির, টাপুর।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ২০ বছরের সংসার রুপকথা আর সাগরের। তাদের ১৮ বছরের একটা মেয়ে আছে যার নাম রোদেলা। মোটামুটি সুখের সংসার, সাগর রুপকথা আর রোদেলার। রুপকথার মনে একটা চাপা কষ্ট আছে, যে কষ্টটা সে কাউকে বুঝতে দেয়নি।

রুপকথা এক সময় ভালো নাচতো, রুপকথার নাচ দেখেই সাগর ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু অদ্ভুতভাবে বিয়ের পরে রুপকথার প্রতি সাগরের প্রথম দাবি ছিলে নাচটা ছেড়ে দিতে হবে।

রুপকথা সাগরের কথা মেনে নিয়েছিলো। কিন্তু খুব বৃষ্টির দিনে রুপকথার ছোটবেলাটা তার কাছে ফিরে আসে। তখন সে ঘরের দরজা বন্ধ করে সাজগোজ করে নিজের মত করে নাচে, সেটাই তার তৃপ্তি।

রুপকথার স্বামী সাগর একটা কনফারেন্সে করতে ১৫ দিনের জন্য দুবাই যায়। সেই সময়টায় রুপথার কাছে পার্সেলে ফুল আসে, অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। তারপর দেখা যায়, যে ফুল পাঠাচ্ছে, ফোন করছে যে মানুষটা সে রুপকথার প্রাক্তন প্রেমিক রিয়াসাত। রুপকথা রিয়াসাতের সাথে বাইরে দেখা করে, ক্যাফেতে বসে, রাত জেগে টেলিফোনে কথা বলে। রুপকথা এখন অনেক খুশি। সারাদিন গুন গুন করে গান গায়, শাড়ি পরে সাজে, খোপায় ফুল গুঁজে।

রোদেলা মা’র এই পরিবর্তন লক্ষ্য করে এবং একদিন মার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলে, ‘মম আমি চাইনা তুমি অন্য কাউকে ড্যাড এর চাইতে বেশি ভালোবাসো, আমি চাই না তোমার দিকে কেউ আঙ্গুল তুলুক, আমি চাই না আমার ড্যাডের সাথে ধোকা হোক।’

রুপকথা বুঝতে পারে ওর ভুল হচ্ছে, তাই সে নিজেকে রিয়াসাতের কাছ থেকে গুটিয়ে নেয়। একদিন রুপকথার সাথে তৃশিতা রহমান গ্রেইগের একটা সুপার শপে দেখা হয়। তৃশিতা এসেছে তার বয়ফ্রেন্ডের জন্য একটা পার্ফিউম কিনতে। কিন্তু বুঝতে পারছে না, কোনো পার্ফিউমটা কিনবে। তৃশিতা রুপকথার কাছে এই ব্যাপারে সাহায্য চায়।

রুপকথা খুশি মনে ওকে পারফিউম কিনতে সাহায্য করে, সেই সাথে জানতে পারে ইশিতার একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম আছে। জানতে পারে তৃশিতার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ইউরোপে। যে যার বাসায় চলে যায়, কিছু দিন পরই রুপকথা দেখতে পায়, ওর স্বামীর ঠিকানায় একটা পার্সেল আসে। রুপকথা পার্সেলের গায়ে তৃশিতার কার্ড দেখে চমকে উঠে, আর মনে মনে ভাবে, ‘একি তৃশিতা কি তাহলে সাগরকে ভালোবাসে? এই পারফিউমটা কোনোভাবেই সাগরের হাতে পৌছতে দেয়া যাবে না। রুপকথা বুদ্ধিমতার সাথে, তৃশিতার বাসায় যায়, তৃশিতার সাথে গল্প করে, তৃশিতাকে তার বাসায় নিমন্ত্রণ করে এবং খুব কৌশলে রুপকথা আর সাগরের বিবাহিত জীবনের কিছু সুন্দর মূহুর্তের ছবি দেখায় এবং সুন্দর সুন্দর গল্প করে বুঝিয়ে দেয়, সাগরকে ভালোবাসা তার জন্মগত অধিকার। এর মাঝে অন্য কারো আসার কোন অধিকার নেই এবং ওরা সুখে আছে।

তৃশিতা এবং রুপকথা দুজনই দুজনার দিক থেকে সব কিছু বুঝেও না বোঝার ভান করে। তৃশিতা ছোট্ট একটা চিরকুটের মাধ্যমে বিদায় নিয়ে আবার ইউরোপে ফিরে যায়।

নাটকটি আগামীকাল ৩ জুন রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এনটিভিতে প্রচার হবে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ