জরিমানা সয়ে গেছে ঢাকাবাসীর: তাপস

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

এডিস মশা নির্মূল অভিযানে যে জরিমানা করা হয় তা ঢাকাবাসীর সয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেছেন, রাজধানীর কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে যে জরিমানা করা হয়, তা ঢাকাবাসীর সয়ে গেছে। লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও আবর্জনা ও পানি জমা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মীরা যখন অভিযানে যান, তখন অনেকেই তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।

বুধবার (২২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক ডুরা সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত বছর ১০টি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান প্রায় এক কোটি টাকা জরিমানা করেছি। এতো জরিমানা করার পরেও, মানুষের মধ্যে সয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখি। জরিমানা কাজে লাগে না।

মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় জানিয়ে তাপস বলেন, একবার অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, সে বাসায় একজন উপ-সচিব থাকেন। তিনি উপর তলা থেকে চিৎকার করে বলছেন- ‘আমার বাসায় ডেঙ্গু নেই, এডিস নেই।’ যখন আমাদের কর্মীরা প্রবেশের অনুমতি চাইলেন, তিনি উপর থেকে এটা ওটা ছুড়ে মারলেন। আমাদের মশক কর্মীদের সঙ্গে অভিযানে গেলে এসব খারাপ ব্যবহার করা হয়। দুর্ব্যবহার করা হয়।

তিনি বলেন, আমি যখন নতুন দায়িত্ব পাই, তখন অনেক কিছুই ছিল না। আমার যদি নির্ধারিত জনবল না থাকে, তাহলে বিভিন্ন জায়গা থেকে জনবল নিয়ে আমার পক্ষে কাজ করা সম্ভব না। কারণ যারা মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে, তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রতিটা ওয়ার্ডে সকালে সাতজন ও বিকালে সাতজন, দক্ষিণ সিটিতে মোট এক হাজার ৫০ জন নিয়োগ দিলাম মশক নিধন কাজের জন্য।

‘পুরো বছরের জন্য কীটনাশক মজুত লাগবে। যেটা সিটি করপোরেশনে ছিল না। ২৩ সালের জুন পর্যন্ত আমাদের কীটনাশক মজুত আছে। এছাড়া কীটনাশক ব্যবহারের জন্য লাগবে যন্ত্র। সকাল-বিকাল দুইটা দুই ধরনের। এর মধ্যে স্প্রে মেশিন দেশে পাওয়া গেলেও ফগার মেশিন জার্মানি থেকে কিনে আনতে হয়েছে।’

ঢাকাবাসীর প্রতি সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আপনার বাসায় না হোক, আপনার পাশের বাসায়ও যদি পানি জমেছে এমন একটা কিছু খেয়াল করেন, আমাদের জানান। আমরা সেখানে অভিযান চালাবো। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আপনারা তথ্য দিয়ে এবং সচেতনতার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের পাশে দাঁড়াবেন।

ডুরা সভাপতি মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ীর সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাসটাস অধ্যাপক ড. এবিএম আবদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, (নগর পরিকল্পনাবিদ), নির্বাহী পরিচালক, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি), অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ