জঙ্গি আশরাফুলের ‘কলঙ্কের ভাগ’ নেবেন না তার মা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

মৌলভীবাজারের বড়হাটে জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী আশরাফুল আলম নাজিমের লাশ দাফনের জন্য নিতে চান না তার মা মনোয়ারা বেগম। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ্ জালাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। মনোয়ারা বেগম জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত ছেলের কলঙ্কের ভাগ’ তিনি নিতে চান না।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘সিলেটের শিববাড়ীতে জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের পাশে পাঠানপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার  মূল হোতা  নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার ঢেউটি ইউনিয়নের কুমার ঘড়িয়া গ্রামের আশরাফুল আলম নাজিম। সেখানে হামলা চালিয়ে মৌলভীবাজারের বড়হাটের আস্তানাটিতে পালিয়ে আসে সে। সেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে সে নিহত হয়। তার পরিচয় শনাক্তের পর তার মা মনোয়ারা বেগম সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ছেলের লাশ নেবেন না।  মনোয়ারা জানান, রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত এমন ছেলের লাশ নিয়ে তিনি কলঙ্কের ভাগ নিতে চান না।’

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ্ জালাল  আরও জানান, এলাকার ইউপি সদস্য মোতাহের আলী তার স্ত্রী পান্নাসহ তিনজন আসেন এবং আশরাফুলের লাশ শনাক্ত করেন।.

বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে আশরাফুল আলম নাজিম একজন। পুলিশের ধারণা, সিলেটে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ চলার সময় পাশেই পাঠানপাড়ায় বোমা হামলায় অংশ নেয় আশরাফুল।  পরে আবার মৌলভীবাজারে ফিরে আসে। ওই হামলা র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান ও দুই পুলিশসহ মোট সাতজন মারা যায় এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়।

আশরাফুলের মা মনোয়ারা জানান, তার ছেলে ৭/৮ মাস আগে সর্বশেষ বাড়িতে যোগাযোগ করে। তখন সে জানায়, ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছে। আশরাফুলের পরিচয় নিশ্চিত হতে তার মাকে মৌলভীবাজারে ডেকে পাঠায় পুলিশ। মঙ্গলবার তিনি লাশ শনাক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ভোর রাত থেকে মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে রাখে পুলিশ ও সিটিটিসির সোয়াট টিম। প্রায় ৮২ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর ওই আস্তানা থেকে দুজন পুরুষ ও এক নারী জঙ্গির ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়।

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন