‘ছয় বলে ছয় ছক্কা’র আগে যে কথা তাতিয়ে দিয়েছিল যুবরাজকে

প্রায় ১৩ বছর আগের কথা। যেদিন স্টুয়ার্ট ব্রডের সামনে বন্ধুরূপী শয়তান হিসেবে হাজির হয়েছিলেন তারই সতীর্থ অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। যার মাশুল দিতে গিয়ে ব্রডকে পড়তে হয় যুবরাজ সিংয়ের খোলা তরবারির সামনে। হজম করেন ছয় বলে ছয়টি ছক্কা।

সেদিন যুবরাজ ক্ষেপেছিলেন আগে থেকেই। তাকে ক্ষেপানোর পেছনে ব্রডের কোন হাত ছিল না। টানা স্লেজিং করে যুবরাজের মাথা গরম করে দিয়েছিলেন ফ্লিনটফ। যার ফলস্বরূপ ছয় ছক্কার মার খেতে হয় ব্রডকে।

ঘটনা ২০০৭ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংসমিডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১২ বলে ৫০ করে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েন যুবরাজ। যা করতে গিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের করা ১৯তম ওভারের সবকয়টি বলকেই তিনি পাঠান সীমানার ওপারে।

সেই ওভার শুরুর আগে ফ্লিনটফের সঙ্গে এক দফা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় যুবরাজের। যা তাতিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় অলরাউন্ডারকে। তিনি যখন একের পর এক ডেলিভারি সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলছিলেন, তখন রাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছিল ফ্লিনটফের চোখে-মুখে।

কিন্তু সেদিন ঠিক কী কথা হয়েছিল দুজনের মধ্যে? যা এতই রাগিয়ে দিল যুবরাজকে? উত্তর দিয়েছেন যুবরাজ নিজেই। জানিয়েছেন সেই ম্যাচে ছয় ছক্কা মারার ঠিক আগের ওভারের ঘটনা। ফ্লিনটফের বলা কথার জবাব দিতেই মূলত সেদিন অমন উত্তাল ব্যাটিং করেছেন যুবরাজ।

তিনি বলেন, ‘ফ্লিনটফের ওভারে আমি দুইটা ভাল ডেলিভারিতে চার মেরেছিলাম, যেটা ওর ভাল লাগেনি। আমি যখন অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কথা বলছিলাম, ঠিক মনে নেই কী বলছিল সে। তবে আমাকে বলেছিল যে ঐ শট দুইটা একদমই হাস্যকর ছিল। তাই আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম কী বললে? তখনই একটা কথা কাটাকাটির শুরু হয়।’

এরপর কী হলো? যুবরাজের উত্তর, ‘ফ্লিনটফ আমাকে বললো, আমি তোমার গর্দান কেটে নেব। আমিও উত্তরে বললাম, আমার হাতে ব্যাট দেখছ? তুমি কি জানো এটা দিয়ে আমি তোমার কোথায় কোথায় মারব?’

তখন দুই আম্পায়ার এসে দুজনকে আলাদা করে দেন। তবে পরিস্থিতি যা গরম হওয়া হয়ে যায়। এ বিষয়ে যুবরাজ বলেন, ‘আম্পায়ার এসে আমাদের আলাদা করে দিলেন। তবে সেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর আমার মাথা খুব গরম ছিল। আমি ঠিক করলাম যে সবগুলা বল আমি বড় শট খেলব। সৌভাগ্যবশত সেই দিনটা আমার ছিল।’

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ