ছেলেকে কিডনি দিতে চেয়েও পারছেন না মা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
একমাত্র ছেলে রাশেদুলকে কিডনি দিতে চেয়েও অর্থের অভাবে পারছেন না মা রাশেদা বেগম। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা হয়তো কোনো দিন স্বপ্নেও দেখেনি রাশেদুলের পরিবার। নেই বিক্রি করার মতো কোনো সম্পত্তি। একমাত্র সম্পদ বাবার আয়ের উৎস সেই ভ্যান। সেটি বিক্রি করলে কতই বা হবে? এসব চিন্তা করে পরিবারটি যখন কোনো কুলকিনারা পায় না তখন বাড়িতে চলে কান্নার রোল।
এদিকে, কিডনি দিতে চেয়েও নিরূপায় মা ছেলের মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে চলতে ফিরতে বলছেন, ‘ছইলডাকে আর মনে হয় বাঁচাতে পারমু না’। প্রতিনিয়ত সংসারে অভাব দেখে ভ্যানচালক বাবাকে সহযোগিতা করতে কিছুদিন আগেই ১৮ বছর বয়সী রাশেদুল মোটর শ্রমিকের কাজে যোগ দেয়। সংগ্রামের এই জীবন শুরু হতে না হতেই ইতোমধ্যে তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে পড়েছে। এরপর থেকেই রাশেদুলের দিন কাটছে বাড়িতে শুয়ে শুয়ে। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে বাবা নাসির প্রামাণিক যা আয় করেন সেটি দিয়ে সংসারের খরচ করার পর বাড়তি টাকা থাকলে ছেলের জন্য ওষুধ কিনেন তিনি।
রাশেদুলের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচগ্রাম দক্ষিণপাড়ায়। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় সে।
বাবা নাসির জানান, অর্থের অভাবে ছেলেটা আমার মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ছেলেকে বাঁচাতে তার মা রাশেদা বেগম নিজের একটি কিডনি দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু সেটি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা কোনোভাবেই যোগাড় করতে পারছি না। চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু দেখা ছাড়া কোনো রাস্তা নেই আমার।
রাশেদুলের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল ইসলামের কাছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট দেখে তিনি জানিয়েছেন, একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা গেলে রাশেদুলকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
রাশেদুলের বাবা ভ্যানচালক নাসির একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
কেউ তাকে সহযোগিতা করতে চাইলে রাশেদুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং:
100089638, সোনালী ব্যাংক, কাহালু শাখায় পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও সহযোগিতা
পাঠাতে পারবেন বিকাশে- 01736-091100 (পারসোনাল)।

স/শ