ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর এবার বন্ধ পাবনা মেডিকেল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এবং আজ শুক্রবার ভোরে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর এক সপ্তাহ আগে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়ে যায়।

আজ সকালে পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল হক রেজা বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক অদ্বিতীয় দে’র সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সেই দ্বন্দ্বের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এরপর আজ শুক্রবার ভোরে ফের সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। দুই দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাঁদের ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত ৫ জানুয়ারি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হান্নান ও পলাশের সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ হয়। এর পর গভীর রাতে কলেজের বীরউত্তম ছাত্রাবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘কয়েক বছর ধরে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের ব্যাপারটি চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে এ ঘটনা ঘটে।’ সূত্র: এনটিভি অনলাইন