চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা, দুই গ্রামপুলিশকে সম্মাননা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় দুই গ্রামপুলিশকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুর রহমানের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের সৌজন্যে এ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্ত দুজন হলেন উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ মো. তৌহিদুল ইসলাম ও একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ মো. বাহার আলী।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ অক্টোবার) বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা প্রধান অতিথি হিসেবে তাদের হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুর রহমান, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, পাটগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান প্রমুখ।

এ বিষয়ে গ্রামপুলিশ বাহার আলী বলেন, গ্রামপুলিশ হিসেবে এই সম্মাননা আমার জীবনে বড় পাওয়া। কখনো ভাবিনি আমাকে এ রকম সম্মাননা দেওয়া হবে। এই সম্মাননা আমার একার নয়, এ সম্মাননা সকল গ্রাম পুলিশের।

এর আগে দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিদর্শনে আসেন ওই ইউনিয়নে একটি ভূমি অফিস নির্মাণ করার জন্য। পরে তিনি পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে যান। আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ দেখেন ও উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন। সেখানে তিনি আমগাছ রোপন করেন। এরপর তিনি বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস সহকারী কমিশনার (এসি) মো. কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার। পরে তিনি বুড়িমারী স্থলবন্দরের সমস্যা সম্ভাবনা বিষয়ে বুড়িমারী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের  সাথে আলোচনা করেন।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান বলেন, আমরা চাই এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করলে অন্য যারা গ্রামপুলিশ আছেন তারা দেখে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হবেন। আগামীতে তারা আরো ভালো কাজ করবেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ