চেক জালিয়াতির অভিযোগে ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ইবি প্রতিনিধি:
চেক জালিয়াতির অভিযোগে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই শিক্ষক ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আবদুল লতিফ বিষয়টি জানিয়েছেন।

বছর খানেক আগে ওই শিক্ষকের নিয়োগ বাণ্যিজ্য সংক্রান্ত একটি অডিও ফাঁস হয়। সেই অডিও নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে ক্যাম্পাসে সমালোচনার ঝড় উঠে। সেসময় সাময়িক বরখাস্ত হন রুহুল আমিন। এর ব্যাথা না সারতেই আবার চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গত ৩ জানুয়ারি চেক জালিয়াতের অভিযোগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস শহীদ মিয়া ও ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ। কমিটিকে আগামী পনের ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রুহুল আমিন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম নামে আল হাদিস বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে। শরিফুলকে চাকরি দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন রুহুল আমিন। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হন তিনি।

গত বছরের ১২ অক্টোবর শরিফুলকে অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় (হিসাব নং ১০৭১৫) ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন রুহুল আমিন। ৩১ অক্টোবর ব্যাংকে ওই চেক নিয়ে যায় শরিফুল। কিন্তু ওই অ্যাকাউন্টে কোনো অর্থ নেই বলে জানায় ব্যাংক কতৃপক্ষ। ব্যাংক কতৃপক্ষ আরো জানায় যে চেকটি ডিজঅনার হয়েছে। ওই ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করেন।
স/শ