চূড়ান্ত অনুমোদন পেল কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিটল নিলয় গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে (কেইজেড) চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজা। পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দুই পাশে ৯১ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর স্থাপিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি দেশের নবম বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে উৎপাদনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুসাব্বির আহমাদ ও নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারপারসন সেলিমা আহমাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেসরকারি খাতের আটটি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বেজা। এর বাইরে ১৯টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রাথমিক লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাজের গতি ও শিল্প-কারখানার প্রযুক্তিগুলো সেভাবে বেছে নিতে হবে।

কেইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুসাব্বির আহমাদ বলেন, এ ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়েই উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। যেসব কোম্পানি নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদেরকেই এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অর্ধেক জমি ভাড়া হয়ে গেছে, বাকিটা ভাড়ার কথাবার্তা চলছে। নতুন এই ইকোনমিক জোনে চার চাকার গাড়ি নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চল শুধু কর্মসংস্থান নয়, নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য একফসলি জমি বেছে নিয়েছে নিটল-নিলয় গ্রুপ।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স পেতে অনেক সময় ছয় মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়। নিটল-নিলয় গ্রুপের একটি ট্রেড লাইসেন্স পেতে ছয় মাস লেগেছে। এখন থেকে বেজা নিজেই ট্রেড লাইসেন্স দেবে। যাতে করে ব্যবসায়ীদের সরকারি অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয়।

নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে ইতিমধ্যে ভারতের টাকা মটরসের সঙ্গে যৌথভাবে মোটরযান নির্মাণের কারখানা স্থাপনের কাজে হাত দিয়েছে বাংলাদেশি নিটল-নিলয় গ্রুপ। ভারতের আরেকটি স্টিল প্রস্তুতকারী কোম্পানি এখানে বিনিয়োগের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এখানে ইলেকট্রিক গাড়ি, এগ্রো বেইজড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে জানায় কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ।