চার স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্র

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপহৃত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম নামের দুজন রোহিঙ্গার নেতৃত্বে চার শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। উদ্দেশ্য মুক্তিপণ আদায় করা। অভিযুক্ত ওই দুই রোহিঙ্গা টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের (ক্যাম্প- ২৬) সি ব্লকে থাকেন। ওই দুই রোহিঙ্গা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্যাঁচারদ্বীপ এলাকার বাতিঘর নামের একটি কটেজের কর্মচারী।

চার স্কুলছাত্র অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, অপহৃত শিক্ষার্থীদের বাড়ি রামু হলেও ঘটনাস্থল টেকনাফ। ফলে টেকনাফ থানার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অপহৃত ছাত্রদের উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।

টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলিম বলেন, চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁদের কোনো সন্ধান মেলেনি।

পুলিশ ও অপহৃত শিক্ষার্থীদের পরিবার জানায়, প্যাঁচারদ্বীপের বাতিঘর নামের কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ওই চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ৪ জনকে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং বাসস্টেশনে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম। সেখান থেকে কুদুমগুহা দেখার কথা বলে হোয়াইক্যং জঙ্গলের দিকে নিয়ে যান। এর পর থেকে চার শিক্ষার্থী নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য চার শিক্ষার্থীকে হোয়াইক্যং কুদুমগুহা কিংবা নেচার পার্ক এলাকার পাহাড়ি আস্তানার কোথাও আটকে রাখা হয়েছে। পাহাড়ের বিভিন্ন আস্তানায় হাকিম ডাকাতসহ রোহিঙ্গাদের একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর আস্তানা রয়েছে।

অপহৃত শিক্ষার্থীদের পরিবার জানায়, সর্বশেষ গতকাল বুধবার রাতে অপরিচিত একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে স্বজনদের কাছে ফোন করে চার শিক্ষার্থীর মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। মুক্তিপণ না দিলে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে লাশ গুম করা হবে বলেও হুমকি দেন অপহরণকারীরা।

প্রথম আলো