চার আনার ফিরনি ২৫ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রমজান স্পেশাল রহমানিয়ার শাহি ফিরনি। এই হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর প্রতিবছর রমজানে ফিরনি বিক্রি জমে উঠে। প্রায় ৬৯ বছর ধরে মাটির পাত্রে অভিনব এক ইফতার সামগ্রী পাওয়া যায় এখানে। তার নাম শাহি ফিরনি। আধুনিক সব ইফতারসামগ্রীর পাশে হারিয়ে যায়নি ফিরনি। রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা বললেন, ফিরনি তাদের স্পেশাল আইটেম। ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদা ফিরনির প্রতি।



গণকপাড়ার এই দোকানটিতে কথা হয় কাটাখালী পৌরসভার মাসকাটাদিঘী এলাকার জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে রোজায় ইফতারের সঙ্গে এই শাহি ফিরনি কেনেন তিনি। ইফতারে খেতে বেশ মজা লাগে তাদের। পরিবারের সবার পছন্দ হওয়ায়-ইফতারে ফিরনি না হলেই নয়।

রহমানি হোটেলের স্বত্বাধিকারি রিয়াজ আহাম্মেদ খান বলেন, ১৯৫২ সালে তার দাদা আনিছুর রহমান খান এই হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে তিনি এখানে শাহি ফিরনি বিক্রি চালু করেন। তখন এক বাটি ফিরনির দাম ছিল চার আনা। দাদার মৃত্যুর পর তার বাবা আব্দুল বারি খান এই ব্যবসার হাল ধরেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনি এখন এই ব্যবসা দেখাশোনা করছেন।

রিয়াজ আহাম্মেদ বলেন, শুরু থেকেই প্রতিটি বাটিতে ১০০ গ্রাম করে ফিরনি দেওয়া হয়। এত বছর পরও তারা আসল শাহি ফিরনির মান অটুট রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই জন্য উত্তরোত্তর এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। দাম শুধু চার আনা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা। এছাড়া এখানে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী।

ইফতার ক্রেতা রকিবুল ইসলাম জানান, এখান ইফতারের আইটেমগুলো ভালো থাকে। তাছাড়া শাহি ফিরনি পাওয়া যায়। বেশ ভালাই লাগে। রমজানে এই ফিরনি আমার ভালোলাগার খাবার।

স/আ