চারঘাটে ত্রাণ না পে‌য়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাট উপ‌জেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। ‌সোমবার সকাল ৯টা থে‌কে বেলা ১১ টা পর্যন্ত চৌমুহনী-বেলঘড়িয়া সড়কে দাঁড়িয়ে বি‌ক্ষোভ ক‌রেন তাঁরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এসময় উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ঘেরাও করে রাখে স্থানীয়রা। পরে কাটাখালী থানা পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের শান্ত করে সভাপতিকে উদ্ধার করে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ ক‌রে ব‌লেন, প্রায় দুই মাস ধ‌রে এলাকার অ‌নে‌কে কর্মহীন হ‌য়ে আ‌ছেন। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে সবাই বিপাকে আছেন। সরকার থে‌কে এখনও কোনো প্রকার ত্রান সহায়তা পান‌নি তাঁরা। ইউ‌নিয়‌ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার কারও খোঁজ নিতে এলাকায় আসেননি। কা‌রও ফোন পর্যন্ত ধ‌রছেন না।
স্থানীয় ইউ‌পি সদস্য অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (আই‌ডি কা‌র্ড) ফ‌টোক‌পি জমা নি‌য়ে‌ছেন। কিন্তু দুই সপ্তা‌হের বে‌শি সময় গে‌লেও তিনি কোন প্রকার ত্রান সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারেন‌নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শুধুমাত্র নি‌জে‌দের স্বজন ও ঘ‌নিষ্ঠজন‌দের মা‌ঝে ত্রান বিতরণ ক‌রে‌ছেন বলে অ‌ভি‌যোগ তো‌লেন বি‌ক্ষোভকারীরা।
মুক্তার হোসেন নামের এক বিক্ষোভকারী জানান, তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি সাধারন মানুষের দুরবস্থার কথা ভেবে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দীন নিজের আত্নীয় ছাড়া কাউকে ত্রান দেয়নি। আবার ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনও শুধু তার নিজের পরিবারের সদস্যদের ত্রানের ব্যবস্থা করছেন। এ অবস্থায় সাধারন কর্মহীন হতদরিদ্ররা ত্রাণ পাচ্ছে না। সেজন্যই বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আলমগীর হোসেনকে ঘেরাও করেন।
এ বিষয়ে ইউসুফপুর ইউপির তিন নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জালাল উদ্দীন বলেন, এলাকাবাসী নিজেদের মনগড়া কথা বলে বিক্ষোভ করছে। তাদের অনেকেই ত্রান পেয়েছে। সবাইকে তো এক রকম অনুদান দেওয়া সম্ভব না। আর তার নিজের যারা আত্নীয় তারা গরীব সেজন্যই ত্রান পেয়েছে। ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন ব‌লেন, বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ সঠিক না। ক‌রোনা প‌রি‌স্থি‌তির শুরুর পর ইউ‌নিয়‌নের প্রতিটি জায়গায় বিভিন্ন বরাদ্দে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে। কিন্তু সবাইকে তো একবারে ত্রান দেওয়া সম্ভব না। ততটা বরাদ্দ আমরা পাইনি। যাচাই-বাছাই ক‌রে পর্যায়ক্র‌মে প্রকৃত অসহায় ব্য‌ক্তি‌দের মা‌ঝে ত্রান পৌঁ‌ছে দেওয়া হ‌বে।
স/আর
আরও পড়ুন: