চান্দিনায় ৩০ মিনিটের ব্যবধানে একই স্থানে এমপির গাড়িসহ ৪ দুর্ঘটনা, আহত অর্ধশত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে কুমিল্লার চান্দিনার হাড়িখোলা এলাকায় কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের গাড়িসহ পরপর ৩টি দুর্ঘটনায় অন্তত অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার হাড়িখোলা মাজার সংলগ্ন স্থানে ৩টি বাস ও ১টি জিপ সহ ৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে সাড়ে ১১টায় চান্দিনা ও দাউদকান্দির সীমান্তবর্তী এলাকা সব্দলপুর রাস্তার মাথায় একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, রাত পৌনে ১০টায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী পদ্মা এক্সপ্রেস বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে উল্টে পরে যায়। খবর পেয়ে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে উল্টে যায়।

উদ্ধারকাজের জন্য ঢাকাগামী লেনটি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপরীত লেনে চলছিল চার লেনের সকল গাড়ি। আর ওই মুহুর্তে বিতরীত লেনের একই স্থানে ঢাকাগামী একটি ল্যান্ড ক্রুজার জিপকে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৬৩৪০) পিছন থেকে ধাক্কা দেয় হানিফ পরিবহনের একটি বাস। এতে জিপে থাকা যাত্রীরা সামান্য আহত হয়েছে। এমপি সেলিমা আহমাদ মেরি অক্ষত রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন।

তিনি জানান, আজ সকাল থেকে সারা দিন বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির মধ্যে অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথম পদ্মা এক্সপ্রেসের বাসটি উল্টে মহাসড়কের পাশে পরে যায়। তাদেরকে উদ্ধার করার সময় শ্যামলী পরিবহনের বাসটিও একই স্থানে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে মহাসড়কের পাশে পরে যায়। মাত্র ২০ গজের ব্যবধানে দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। ২টি বাসেই পর্যাপ্ত যাত্রী ছিল। অপরদিকে দুর্ঘটনাস্থলে এসে বিপরীত লেনের জিপটি হঠাৎ গতি কমানোর ফলে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় অপর একটি বাস।

তিনি জানান, দুর্ঘটনাস্থলটির সামনে বাঁক আছে। অতিরিক্ত গতিসম্পন্ন গাড়িগুলো এসে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেয়ে এসব দুর্ঘটনা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার তুষার আহমেদ জানান, আমাদের হাসপাতালে অন্তত ৩০জনের রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।