শুক্রবার , ২৪ জানুয়ারি ২০২০ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চাঙ্গা শেয়ারবাজারে বেড়েছে লেনদেন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ২৪, ২০২০ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দেশের শেয়ারবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো চাঙ্গাভাব অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৫৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮০টির, কমেছে ৪৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গত ১ ডিসেম্বরের পর ডিএসইতে আবার পাঁচশ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৩৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১০ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হড়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৬৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।

আর্থিক খাতের সঙ্গে শেয়ারবাজারকে ভোগাচ্ছে আর্থিক প্রতিবেদন : বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার অভাব শেয়ারবাজারকে ভোগাচ্ছে। আজকে আমাদের বাজারের যে পরিস্থিতি, তাতে সহায়ক শক্তিগুলো খুবই প্রয়োজন। আমরা আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার জায়গায় ভয়াবহ সাফার করছি। ভালো মানের আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) বলে কিছু নেই।

ভালো আর্থিক প্রতিবেদনই ভালো মানের আইপিও দিতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের (জিআরআই) সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমি আয়োজিত ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং করপোরেট ইমপ্যাকট থ্র ডিসক্লোজার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এ কথা বলেন।

এ সময় ভারত সরকারের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সাবেক সচিব রাম বন্দ্যোপাধ্যায়, জিআরআইর পরিচালক ড. অদিতি হালদার, ডিএফএটি প্রোগ্রামের ম্যানেজার রুবিনা পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমডির বিষয়ে মামলা করতে বললেন ডিএসইর চেয়ারম্যান : ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে কাজী সানাউল হককে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এমডি করা নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভাতে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। কাজী সানাউল হককে এমডি করার পর্ষদের একটি অংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অপরদিকে কাজী সানাউল হককে এমডি করার বিষয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাসেম পর্ষদ সভায় বলেছেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ডিএসইর এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদি কারো মনে হয় এমডি নিয়োগে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি তা হলে তিনি মামলা করতে পারেন।

পর্ষদ সভার পর একাধিক সদস্য জানান, পর্ষদ সদস্যদের একটি অংশের পাশাপাশি ডিএসইর আরও ২০-২৫ জন সদস্য পর্ষদের কাছে কাজী সানাউল হককে এমডি করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু কারও কোনো কথা চেয়ারম্যান আমলে নেননি। উল্টো তিনি সানাউলের পক্ষ নিয়েছেন।

তারা জানান, বৈঠকে পরিচালকদের একটি অংশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা কাজী সানাউল হককে এমডি করার বিষয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

এর ভিত্তিতে চেয়ারম্যান বলেন, এর আগে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কেএএম মাজেদুর রহমানকে এমডি করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করা হয়। সেই আবেদন বিএসইসি নাকচ করে দিয়েছে। এখন সানাউল হকের প্রস্তাব বিএসইসি অনুমোদন দিয়েছে। যদি এমডি নিয়োগে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করা হয় তা হলে মামলা করেন।

গত ৯ জানুয়ারি কাজী ছানাউল হকের নিয়োগ প্রস্তাবে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের তিন জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক আপত্তি জানিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে সেদিন উপস্থিত ১০ পরিচালকের মধ্যে চারজন তার নিয়োগে বিরোধিতা করেছিলেন। তবে ডিএসই পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কাজী ছানাউল হককে এমডি হিসেবে নির্বাচন করে এসইসিতে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। যার ভিত্তিতে গত বুধবার তার নিয়োগ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় বিএসইসি। যদিও আগের এমডি হিসেবে কেএএম মাজেদুর রহমানের পুনর্নিয়োগে পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দিলেও এসইসি তা খারিজ করে দেয়। কাজী ছানাউল হক এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) এমডি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য