চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮০ হাজার বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ ১২ টন চাল!

ভ্রাম্যামান প্রতিনিধি:

গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় ৫ সেন্টিমিটার এবং মহানন্দায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার এ পর্যন্ত ১২টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০ টি গ্রামের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আর এসব বান ভাসিদের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১২ মে.টন চাল। পানিবন্দী মানুষের মাঝে কোন ত্রাণ বিতরণ না করায় বন্যার্তরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২২.৪৩ এবং মহানন্দায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২০.৮৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ দুটি নদীর পানির বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা মনসুরুর রহমান জানান, বন্যাকবলিত ২টি উপজেলার ত্রাণ হিসেবে ১২ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলি, নারায়নপুর, চরঅনুপনগর, সুন্দরপুর, চরবাগডাঙ্গা, দেবীনগর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দূর্লভপুর, মনাকষা, ঘোড়াপাখিয়া, ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের প্রায় ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

 

এছাড়া রোববার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুর ধাপাপাড়া, চরমোহনপুর ও নামোনিমগাছির, নামোবড়িপাড়ার, চর ইসলামাবাদ, গোরস্থান পাড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে বন্যার পানি গ্রামে ঢুকে পড়ায় সেখানকার মানুষদের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বন্যর্তদের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসককে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন। এ ছাড়া শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের দ্বোরশিয়া, পারঘোড়াপাখিয়া নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

 

উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন জানান, তার পুরো ইউনিয়নে একটি মাত্র গ্রাম ছাড়া সব গুলোই ডুবে গেছে। তার পরেও কোন প্রকার বরাদ্দ আসেনি।

 

শনিবার শিবগঞ্জ উপজেলার ফারাক্কার মুখে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পাঁকা ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুর ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক শনিবার ৭০টি পরিবারের মধ্যে ১ হাজার টাকা করে বিতরণ করেন।

 

সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের আলিমপুরের গ্রামের ইসরাইল হোসেন জানান, গত ১০ দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে আছি, প্রশাসনের কেউ খোঁজটুকুও নেয়নি। একই এলাকার রাজিয়া বেগম জানান, বন্যায় গত ৬ দিন ধরে ডুবে থাকলেও, কেউ কোন সাহায্য নিয়ে আসেনি।

স/শ