চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ করে কটুক্তি, শিক্ষক আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে মাইকে প্রচারিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বন্ধ করে কটুক্তি করায় এক শিক্ষককে আটক করেছে ভোলাহাট থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তিনি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন। এর আগেও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনি ঔদ্ধর্থপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন ৭ মার্চ উপলক্ষে দেশ জুড়ে নানান আয়োজনের অংশ হিসেবে জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে সকাল থেকে মাইকে প্রচারিত হচ্ছিলো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ চলাকালীন আরবি বিভাগের প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম এসে হঠাৎ করেই ভাষণটি বন্ধ করে দেন এবং ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নানান কটুক্তি করে বলেন, ‘মরা মানুষের ভাষণ শুনে কী হবে ? সে তো কবরে আছে। বরং আমার ভাষণ শোনো, তোমাদের কাজে লাগবে।’ ঠিক ওই সময়ই কলেজের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজে জড়ো হয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ বিষয়ে জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজন শিক্ষক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটুক্তি ও তার ৭ই মার্চের ভাষণ বন্ধ করে চরম অপরাধ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে পুলিশ আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন আইরন বলেন, একজন রাষ্ট্রদ্রোহী হলে তবেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে। প্রভাষক তৌফিক এর আগেও জাতির পিতা সম্পর্কে কটুক্তি করে রেহাই পাওয়ার কারণে আবারও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও আঞ্জুমান সুলতানা বলেন, একটি অনাকাংক্ষিত ঘটনার খবর পেয়ে কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শণ করেছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার বলেন, ঘটনার পরপরই জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের আরবি শিক্ষক তৌফিকুল ইসলামকে কলেজ থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।