চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিদিন ছয় স্থানে ওএমএসের চাল বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে খোলা বাজারে চাল বিক্রি-ওএমএস কার্যক্রমও। জেলার ১৩ পয়েন্টে বিক্রি হবে ওএমএসের চাল। এ কার্যক্রমের ফলে বাজারে চালের দাম কমবে বলেও আশা করছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

এদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রমও শুরু হবে খুব শিগগিরই। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য এ চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলা পর্যায়ে ওএমএসের চালের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। জেলায় ১৩ ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে ওএমএসের চাল। এ ১৩টি পয়েন্ট হচ্ছে নয়াগোলাহাট, শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ মোড়, পাওয়ার হাউস মোড়, হুজরাপুর, বাক্সপট্টি, পুরাতনবাজার তুলাপট্টি, হাসপাতাল রোড-শিবতলা, আরামবাগ, নতুনহাট, আজাইপুর, অধিরের মোড়, পাঠানপাড়া-ওয়ালটনমোড় ও আলীনগর। তবে প্রতিদিন ছয়টি পয়েন্ট খোলা থাকবে।

পালাক্রমে সপ্তাহে ছয়দিন (শুক্রবার বন্ধ) চাল বিক্রি করা হবে পয়েন্টগুলোয়। প্রথমদিন অর্থাৎ প্রতিদিন একজন ডিলার এক মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ পাবেন। যে কোনো ব্যক্তি জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।

অন্যদিকে জেলায় দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হবে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি কার্যক্রমও। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে ওই চাল বিক্রির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ডিলাররা বিক্রির জন্য চাল উত্তোলন শুরু করেছেন। তবে চাল বিক্রি শুরু করতে আরও দু-একদিন সময় লাগতে পারে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এই পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হবে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই কার্যক্রম দুটি চালু হয়ে গেলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে এবং চালের দাম কমে যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুর রহমান রাজু জানান, খোলাবাজারের চাল এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে যাতে কোনো ধরণের অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে কড়া নজরদারি করা হবে। কারও বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ উঠলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স/শ