চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের অভিযানে অপহৃত নারী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

মঙ্গলবার এক গৃহিণী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ দেন যে, তাঁর মেয়েকে কয়েকজন ছেলে অপহরণ বা জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। অভিযোগ পাবার পর পুলিশ সুপার ও ওসি তদন্ত মো. আতিকুল ইসলাম এর নির্দেশে এসআই মশিউর রহমান হর্টিকলচার সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।

মেয়ের এমন ঘটনা সহ্য করতে না পেরে মেয়ের মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর সদর থানায় ছেলে মেয়ের অভিভাবককে ডেকে আনা হয়। ভিকটিমের মা মেয়েকে ভাল ভাবে ফিরে পেয়েছেন এতেই শান্তি। তিনি কোন আর অভিযোগ কিংবা মামলাদায়ের করেন নি।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় সদর থানার ওসি তদন্ত মো.আতিকুল ইসলাম জানান, আজ ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে এক নারী অভিযোগ দেন যে তাঁর মেয়েকে ৩/৫ জন জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। অভিযোগ পাবার পর আমরা তাৎক্ষণিক ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। যেহেতু ভিকটিম এর মা কোন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেননি তাই আমরা দু পক্ষের অভিভাবককে ডেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেবার প্রক্রিয়া চলছে। বড় কথা হচ্ছে মেয়ের মা মেয়েকে ফিরে পেয়েছেন এতেই শান্তি। মজার বিষয় হচ্ছে ভিকটিম নারী নিজেই স্বীকার করেছেন তাঁকে জোর করে তুলে আনা হয়নি। তিনি নিজ ইচ্ছাতেই এখানে এসেছিলেন।

এ ব্যাপারে এসআই মো. মশিউর রহমান জানান, স্যারের নির্দেশে দুপক্ষের লোকজনকে থানায় আনা হয়েছে। দুপক্ষের কোন অভিযোগ না থাকার কারণে, এর পর আর এমন ঘটনা যাতে না ঘটে অঙ্গীকার করে মুচলেকা নিয়ে তাঁদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন শহরের ফকিরপাড়ার এক ব্যবসায়ীর দোকানে প্রথমে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরো তিন চার জন ছেলে মেয়েটিকে নিয়ে কল্যাণপুরের হর্টিকলচার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানে সেখান থেকেই তাঁদের আমরা আটক করি।

এ ব্যাপারে মেয়েটির মার সাথে কথা বলতে চাইলে অসুস্থ থাকার কারণে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ভিকটিম নারী বিবাহিত এবং যে ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে তিনিও বিবাহিত। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সেবা দিতে বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন ৯৯৯ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রাজধানীর আবদুল গনি রোডের ডিএমপির কন্ট্রোল রুমে এই সার্ভিসের প্রধান কার্যালয় করা হয়েছে। ৯৯৯ সেবাটি ডিএমপির এই কন্ট্রোল রুম থেকে বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। ৯৯৯ নম্বরে কল করলেই যে কেউ পেয়ে যাবেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা। ৯৯৯ নম্বরটিতে ফোন করতে গ্রাহকের কোনো টাকা খরচ হবে না, এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। এই কল সেন্টারের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টায় সেবা দিয়ে চলেছেন।

ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষও এ সেবা নিতে শুরু করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম-পিপিএম এর সার্বিক তদারকিতে জেলাতেও চলছে এ কার্যক্রম। তারই অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হর্টিকালচার সেন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এ নারীকে।

স/শ