ঘুমের মধ্যে মেয়েদের চুল কাটছে কে, একের পর এক ঘটনায় তদন্তে পুলিশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ভুতুড়ে কাণ্ড বা অলৌকিক ঘটনা নিয়ে গুজবের শেষ নেই এদেশে। কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, বেঙ্গালুরুর এক গ্রামে মাঝে মধ্যেই নারকেল গাছের উপর থেকে শিশুর হাসির শব্দ ভেসে আসছে। পরে অবশ্য এর পিছনে অন্য কারণ ছিল বলে জানা যায়, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত। এবার আরও এক ঘটনা নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া।

ইদানীং এক অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছেন পশ্চিম রাজস্থানের বাসিন্দারা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে সেখানকার মহিলারা। দু’চোখের পাতা এক করলেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে মাথার চুল। অর্থাৎ ঘুমের মধ্যেই কেউ কাঁচি দিয়ে কেটে নিচ্ছে মহিলাদের চুল। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে নাকাল সে রাজ্যের পুলিশও।

হিন্দুস্থান টাইমস-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম রাজস্থানের বেশ কিছু এলাকায় এখন সূর্য ডুবলেই অজানা আতঙ্ক ঘিরে ধরছে। ঘুমোতে ভয় পাচ্ছেন মহিলারা। গত ২ সপ্তাহে যোধপুর এবং বিকানের জেলায় অন্তত ১২ জন মহিলার তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় চুল কাটা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে শিশু থেকে বড় সকলেই। ঘুমোনোর পরেই তাঁদের মাথা থেকে চুল উধাও হয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেন কেউ গোপনে মাথায় কাঁচি চালাচ্ছে। যোধপুরের ফালোদির বাসিন্দা বাবুরাম মেঘাওয়াল জানিয়েছেন, একদিন সকালে তাঁর মেয়ে ঘুম থেকে উঠেই কাঁদতে শুরু করে। তিনি দেখেন ১৩ বছরের মেয়ের মাথার চুল প্রায় নেই বললেই চলে। এক বাসিন্দার বক্তব্য, এই ঘটনার সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘোরের মধ্যে ছিলেন।

মনে করা হচ্ছে, এক সুগন্ধী বস্তু স্প্রে করেই এই দুষ্কর্ম চলছে। গ্রামবাসীর প্রথমে ভেবেছিলেন এটি অলৌকিকভাবে ঘটছে। তবে কয়েক দিন পর থেকেই সেই ধারণা ভাঙতে থাকে তাঁদের। এখন মেয়েদের চুল অক্ষত রাখতে পালা করে রাত জাগছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের ছাড়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের এসপি। কীভাবে কার্যসিদ্ধি করছে অপরাধীরা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা মনে করছে, একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের মধ্যে দিয়েই এর সূত্রপাত।

রাজ্যের মহিলা কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, এক শ্রেণির ধর্মগুরু তাদের স্বার্থসিদ্ধি করতেই এমন কাজ করছে।