গ্রিনউডের বিরুদ্ধে বান্ধুবীর অভিযোগ, সতীর্থকে ‘আনফলো’ করলেন রোনালদোরা

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পতুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন মায়োরগা ২০০৯ সালে লস এঞ্জেলেসে রোনালদোর দ্বারা ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু আদালত নির্দোষ বলেছে রোনালদোকে।

তারপর থেকে নিজের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নিয়ে বেশ সজাগ তিনি। সম্প্রতি ম্যানইউয়ের তরুণ ফুটবলার ম্যাসন গ্রিনউডের বিরুদ্ধে বান্ধুবিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। তাই গ্রিনউডকে সামাজিক মাধ্যমে ‘আনফলো’ করেছেন রোনালদো।

রোনালদোর পাশাপাশি পল পগবা, এডিনসন কাভানি, ডেভিড ডি গিয়া, মার্কাস রাশফোর্ডরাও গ্রিনউডকে  ‘আনফলো’ করেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব আগেই নিজেদের বিবৃতি দিয়ে দিয়েছিল। যদিও ক্লাবটির অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার পেইজ এখনো গ্রিনউডকে ‘ফলো’ করছে।

রবিবার গ্রিনউডের বান্ধবী হারিয়েট রবসন ইনস্টাগ্রামে নিজের শরীরে আঘাতের চিহ্নসহ বেশকিছু ছবি আপলোড করেন। রক্ত ​​​​ও ক্ষতের ছবি দেখিয়ে নিজের উপর শারীরিক নির্যাতনের জন্য তিনি গ্রিনউডকে দায়ী করেন। একটি রক্তাক্ত ভিডিও আপলোড করে তিনি লিখেন, ‘এটি তাদের জন্য যারা জানতে চায় ম্যাসন গ্রিনউড আসলে আমার সাথে কী করে। ’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ সুপারস্টার ধরা হয় গ্রিনউডকে। তার খেলার প্রশংসা শোনা গিয়েছে স্বয়ং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মুখেও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ তুর্কির প্রতিভা নিয়ে কারোরই সন্দেহ নেই। কিন্তু, পেশাদার ফুটবলে পা দেওয়ার পর থেকে মাঠের বাহিরের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যও বারবার শিরোনাম হচ্ছেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ