গ্রামীণফোনের ডাকাতি! ক্ষুব্ধ গ্রাহকের ফেসবুকে মন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আমাদের দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো যে ডাকাতি করছে, সেটি আর নতুন কিছু নয়। তার পরেও দিনের পর দিন এই অপারেটরগুলো ইচ্ছেমতো নানা পন্দি এটে গ্রাহকদের পকেট থেকে টাকা খসাচ্ছে। আমাদের দেশের পা ফাটা মানুষগুলোকেও এরা ছাড়ছে না।

 

নানা প্রলোভনের ম্যাসেজ দিয়ে দিনের পর দিন টাকা কেটে নিচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলো। অনেকেই জেনে আবার অনেকেই না জেনে-বুঝেও সেই ম্যাসেজ নামের প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছেন। বিশেষ করে ইদানিংকালে দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা নয়, যেন ডাকাতিতে নেমেছে। ইন্টারনেট প্যাকেজের নামে তাদের প্রতারণা নিয়ে এর আগেও সিল্কসিটি নিউজে একাধিক অনুসন্ধানী খবর প্রকাশ হয়েছে। অযথা টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুলে গ্রামীণ ফোনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা পর্যন্ত করেছেন রাজশাহীর একজন আইনজীবী।

 

কিন্তু তারপরেও থেমে নেই তাদের প্রতারণা বা ডাকাতি। গ্রামীণ ফোনের প্রতারণায় অতিষ্ঠ হয়ে একজন গ্রাহক ও সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সালাহউদ্দিন সুমন তার ফেসবুকে আজ শনিবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে একটি মন্তব্য লিখেছেন। সিল্কসিটি নিউজের আজ পাঠকদের কাছে হুবুহু তুলে ধরা হলো।

 

‘৮৯ টাকায় ১ জিবি ডাটা পেতে সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে *৫০০০*২০২# ডায়াল করলাম। তৎক্ষণাৎ কনফার্মেশন এসএমএস এলো ফোনে। জানালো ২০২৫ এমবি প্ল্যান চালু হয়েছে।

 

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে একটা এসএমএস এলো। এসএমএস-এ জানালো আমার ইন্টারনেট ব্যালেন্স শেষ হয়েছে। উল্টো বোমাইলে থাকা আরো ৬০টাকাও আলিমুল গায়েব!

 

আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। সকাল থেকে আহামরি কোনো কাজ করিনি। বড়ো জোর ৫০এমবি খরচ হতে পারে।

 

কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজারকে সমস্যা জানাতেই তিনি জানতে চাইলেন, আমি ৮৯টাকা ফ্লেক্সি লোড করে ডাটা কিনেছিলাম কিনা। আমি বললাম, বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া ব্যালেন্স থেকে প্ল্যানটি কিনেছি।
উনি বললেন, ‘বিকাশ থেকে নেয়া টাকা দিয়ে এটা অ্যাকটিভ করা যাবে না। তাই আপনার অ্যাকাউন্টে কোনো ডাটাই যোগ হয় নি। আপনি যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন তখন কেবি/সেকেন্ড রেটে (ডাকাতি রেট) টাকা কাটা হয়েছে।

 

আমি বললাম, ঠিক আছে বুঝলাম আপনার কথা। বিকাশে নেয়া টাকা দিয়ে যদি প্ল্যান চালু না হয়, তাহলে অ্যাক্টিভেশন এসএমএস আসবে কেনো? নেগেটিভ এসএমএস দেয়া হলো না কেনো? কেনো বলা হল না, এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয়, আপনি ফ্লেক্সি করুন।

 

তখন তিনি বললেন, না স্যার, কনফার্মেশন এসএমএস যেতেই পারে না। আপনি ভালো করে মেসেজটি পড়েছেন?

 

আমি তাকে লাইনে রেখে এসএমএস যখনই পড়ে শোনানো শুরু করেছি, উনি বললেন, হ্যাঁ এসএমএসটি দেখতে পাচ্ছি। আসলে আপনি ১জিবি ডাটা সকালে পেয়েছিলেন এবং আপনি সেটা খরচ করেছেন।

 

কার মাথা ঠিক থাকে বলুন। আচ্ছা মতো ঝাড়ি দিয়ে মামলা করার হুমকি দিলাম। উনি বললেন, জি স্যার।

 

ফোন করার আগে ৪২টাকা এমারজেন্সি বালেন্স নিয়েছিলাম। ফোন রাখার পর দেখি সেটাও হাওয়া! এ তো দেখি শাঁখের করাত!
এই হলো কাস্টমার কেয়ারের নমুনা। সমস্যার কথা বলতে গেলেও ডাকাতি রেটে টাকা গুনতে হবে। বাহ!

 

এদের ডাকাতি কি শেষ হবে না? এভাবে আর কতো?

স/আর