গোলাপি বলে বাংলাদেশের হতাশার একদিন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কলকাতায় ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টের চার দিনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির দাবি এমনই। ইডেন গার্ডেনসে দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম দিন গ্যালারি উপচে পড়া দর্শক তার প্রমাণও দেয়। কিন্তু গোলাপি বলের টেস্টের সেই উচ্ছ্বাস যেন প্রথম দিনই উবে গেছে। টস জিতে ব্যাট করা বাংলাদেশ ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে। প্রথম দিনের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হাতে রেখে ৬৮ রানের লিড নিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। টেস্টের ফলও যেন নিশ্চিত করে ফেলেছেন। এই টেস্ট তৃতীয় দিনেই শেষ হচ্ছে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন।

অথচ গোলাপি বলের এই টেস্ট নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশেই চড়েছে উত্তেজনার পারদ। টি-২০ সিরিজ শেষ হবার আগেই শুরু হয়েছে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ, ভয় কিংবা টেস্টের ভবিষ্যত নিয়ে গোলাপি বলের সম্ভাবনার কথা। টেস্টকে স্মরণীয় করতে সৌরভের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে উড়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘণ্টা বাজিয়ে উদ্বোধন করেন টেস্টের নতুন দিগন্তের। দু’দেশের সাবেক তারকাদের ডেকে বিশেষ সম্মাননার ব্যবস্থাও করা হয়। স্টেডিয়াম, গ্যালারি থেকে কলকাতা শহর সাজানো হয় গোলাপি রঙয়ে। কিন্তু সব আয়োজন ছাড়িয়ে ম্যাচটাই তো আসল। সেখানে স্বাগতিক ভারতের একক আধিপত্য।

ইডেনের সবুজ উইকেট। সঙ্গে পেস, বাউন্স ও সুইং সহায়ক গোলাপি বল। তারপরও টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। ভারতের পেস ত্রয়ীর সামনে লেলিয়ে নেয় নিজেদের। সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল বলে যান, এটা আমাদরে সাহসী সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই সাহস ব্যাটে দেখাতে পারেনি লাল-সবুজের দল। ভারতীয় পেসারদের গোলাপি বলের বিষে নীল হয়ে ৩০.৩ ওভারে অলআউট হয়। সেই নীল হওয়ার শুরুটা হয় ৩৮ রানে ৫ উইকেট হরিয়ে।

এর মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন এবং মুশফিকুর রহিম ডাক মেরে ফেরেন। বিপর্যয়ের চোখ রাঙানি শুরু হয়। সেই চোখ রাঙানি থেকে রেহায় পায়নি বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন। কনকাশন হওয়া দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও নাঈম হাসান (আউট) যথাক্রমে দ্বিতীয় তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪ ও ২৯ রান করেন।