অপকর্মে জড়িতরা নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়বেন: কাদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে কেউ বাদ পড়েন না, নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়। যিনি অপকর্ম করেছেন, তিনি নেতৃত্ব থেকে বাদ যাবেন। আর যারা ক্লিন ইমেজের তারা বাদ যাবেন না। রাজনীতিতে ধৈর্যহারা হলে চলবে না। ত্যাগ স্বীকার করলে আজ হোক, কাল হোক আওয়ামী লীগে তাদের মূল্যায়ন হবেই।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করতে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে দল ভারী করতে বিতর্কিত লোককে প্রার্থী করে অথবা প্রার্থী হয়ে লাভ হবে না। নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট আছে। কার কী অবস্থা, কী অপকর্ম- সব জানা আছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দেওয়া হবে। একাধিক প্রার্থী হলে এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। যেদিন সম্মেলন, সেদিনই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এবার আর দেরি করা হবে না।

মহানগর নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনে কে সভাপতিত্ব করবেন, কে স্বাগত বক্তব্য দেবেন- নেত্রীর নির্দেশ মতো সেটা ঠিক করা হয়েছে। কেউ কারও বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। প্রতিযোগিতা থাকবে, প্রার্থী হতে পারবেন; কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কেউ অপপ্রচার চালাবেন না। মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগে কেউ অপরিহার্য নন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে একমাত্র আওয়ামী লীগেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র রয়েছে। আওয়ামী লীগই সময় মতো সম্মেলন করে। বিএনপি নেতারা এত বড় বড় কথা বলেন। কই তাদের দলের তো সম্মেলনের খবর নেই! নিজেদের দলেই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই, গণতন্ত্র নেই। তারা আবার দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাদেক খান, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।