গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজদের ধাওয়ায় দগ্ধ নসিমন চালকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৃত্যুর কাছে হার মানলেন নসিমন চালক মনিরুল। দীর্ঘ সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হারমানতে হয় গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজদের ধাওয়ায় ট্রাকের সঙ্গে সংষর্ঘে আহত নসিমন চালক মনিরুলকে। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি চাঁপাইয়ের আলীনগর ভূতপুকুর এলাকার বাসিন্দা।

নিহত মনিরুলের শ্বশুর নূর আলম জানায়, এই ঘটনায় মনিরুলের শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঝলসে গিয়েছিল। তাকে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেফার্ড করা হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এখানে অনেক দিন আগে থেকে চাঁদাবাজি করে। কিন্তু পুলিশ কাউকে কিছু বলে না। এই রকম একটা জায়গায় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে পুলিশ কেনো চুপ থাকে এমন অভিযোগ করেন তারা। চাঁদাবাজরা বিভিন্ন সময় পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে তারা টাকা উঠায়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, ওই ঘটনার পরপরই তিন চাঁদাবাজ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তারা প্রতিদিনই সেখানে দাঁড়িয়ে মালবাহী ভুটভুটি থেকে চাঁদা আদায় করে। এই চাঁদার ভাগ স্থানীয় পুলিশও পায়। পুলিশের ছত্রছায়ায় তারা সেখানে চাঁদাবাজি করে আসছিল। আর তাদের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটলো। এ ঘটনার দৃষ্টান্ত শাস্তিও দাবি করেন স্থানীয়রা।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুল আলম মুন্সি সিল্কসিটি নিউজকে জানায়, চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আর নসিমন চালক মনিরুল দুর্ঘটনায় মারা গেছে। তবে ক্ষাতিগ্রস্থরা এসে থানায় মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত ২ এপ্রিল রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে তিন চাঁদাবাজ। যারা রাস্তায় লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ভুটভুটি থেকে চাঁদা আদায় করছিল। ওই তিন চাঁদাবাজ হলো, গোদাগাড়ীর জাহানাবাদ এলাকার নবি, রাকিব ও রেজাউল।

আহত ভুটভুটি চালক মনিরুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আহত তিনটি গরু উদ্ধার করে দ্রুত তাদের জবাই করা হয়।

স/আ