গোদাগাড়ীতে গাড়ী ভাঙচুর, এমপির অনুসারী চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে লাঞ্ছিত ও গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনায় এমপি ফারুকের অনুসারী স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার মামলাটি করেছেন ওই ঘটনার শিকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইজিপি মতিউর রহমান।

এদিকে গোদাগাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের ওপর এমপির উপস্থিতিতে হামলার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমপির ইন্ধনে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে উপজেলা রিশিকুল ইউনিয়নের বিলাসী মোড়ে হামলার শিকার হোন পুলিশের সাবেক আইজিপি মতিউর রহমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম আতাউর রহমান। এ সময় স্থানীয় রিশিকুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুলের নেতৃত্বে মতিউর রহমানের গাড়ীও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল মতিউর রহমান বাদী হয়ে শহিদুলসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন আদালতে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, এমপি ফারুক চৌধুরীর অনুসারী স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুলের সহযোগী আব্দুল হক বাবু, পারভেজ মোশাররফ বাবু, ওয়াজি ইসলাম, কামাল পাশা সোহাগ, সোহেল রানা, তানোরের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, জুবায়ের রহমান, সেলিম ও পিন্টু।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওইদিন বিকেলে গোদাগাড়ীর বিলাসি মোড়ে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করতে গেলে আসামিরা আওয়ামী লীগের দুই নেতার ওপর হামলা করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক আইজিপি মতিউর রহমানের গাড়ীও ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে গত রবিবার সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী ডিগ্রি কলেজে এমপি ফারুক চৌধুরীর উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।
হামলার শিকার আব্দুর রহমান বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজে উদ্দিন বাচ্চুসহ তাঁর ক্যাডাররা আমাকে পিটিয়ে জখম করলেও পুলিশ এমপির হস্তক্ষেপের কারণে মামলা নিচ্ছে না।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলা করেনি, তাই মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা রের্কড করা হবে।

স/শা