গাছের গুড়ি প্রতি কেজি ২০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর মাত্র ২ দিন বাদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। পশু কেনার পর এবার শুরু হয়েছে কোরবানীর অনুসঙ্গ কেনার পালা। এর মধ্যে প্রধান অনুসঙ্গ হলো গাছের গুড়ি। কারণ কোরবানীর গোশত কাটার জন্য গাছের গুড়িটিই সবার আগে প্রয়োজন। এছাড়া ছুরি , চাপাতি, খেজুর পাটিসহ অন্যান্য আসবাব কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন মানুষ।

সরেজমিনে নগরীর শালবাগান, সাহেববাজার, ডিঙ্গাডোবা, কোর্টস্টেশন, বিনোদপুর বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজার এলাকায় বিক্রি হচ্ছে গাছের গুড়ি।এছাড়া বিভিন্ন স’মিল থেকে খুচরা ও পাইকারী রে বিক্রি হচ্ছে গুড়ি। এসব গুড়ি কোথাও বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে আবার কোথাও কেজি দরে। ছোট থেকে মাঝারি সাইজের গুড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর বড় সাইজের গুড়ি বিক্রি হচ্ছে ডাকে। বড় সাইজের গুড়ি ওজনে প্রায় ২২০ কেজি পর্যন্ত রয়েছে। তবে পেশাার কসাইয়েরা সেই গুড়ি গুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

গাছের গুড়ি কিনতে আসা আহসানুল হাবিব বলেন, কোরবানীর পশুর মাংস কাটার জন্য খ্যাট্যা(গাছের গুড়ি) তো লাগেই। এবার আগে ভাগেই গাছের গুড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। আর ছোট ছুরি গুলোও তিন চারটি কিনে রাখলাম।

আরেক ক্রেতা সাবরিনা শারমিন জানান,খাসির গোশত কাটার জন্য গুড়ি কিনতে এসেছেন তিনি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।


কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও বিক্রি করছেন গাছের গুড়ি। শালবাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যান মৌসুমী ফলের দোকানীরা ঈদের এই কয়েক দিন গুড়ি বিক্রি করছেন। স্থানীয় স’মিল থেকে গাছের গুড়ি পাইকারী রে কিনে এসে সামান্য লাভে বিক্রি করছেন তারা। তবে ঈ যত ঘনিয়ে আসছে গুড়ি কেনার প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় গুড়ি বিক্রি লাভজনক হচ্ছে বলেও জানান তারা।

নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, ঈদের কয়েকটি দিন তারা দুই জন মিলে গাছের গুড়ি বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি গুড়ি বিক্রি করছেন ২০ টাকা দরে। গাছের গুড়ির সাথে তিনি ছুরি চাপাতিও বিক্রি করছেন।

আরেক ব্যবসায়ী নাসির হোসেন বাবু বলেন, গাছের গুড়ি কিনতে ক্রেতাদের চাপ মোটামুটি রয়েছে। মাঝারি আকারের তেতুল কাঠের গুড়িগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের প্রতিটি গুড়ি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া খেজুর পাতার পাটি ৯০ টাকা, ছোট থেকে মাঝারি আকারের ছুরি ২০ থেকে ৫০ টাকা, বড় ছুরি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং চাপাতি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে।
স/অ