গরিবের চাল নিয়ে কারসাজি, পদ হারালেন আওয়ামী লীগ নেতা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়া নন্দীগ্রামে দরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল কালোবাজারে ক্রয় করে মজুত করার অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের সভাপতি মখলেছুর রহমান  মিন্টু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের সভাপতি মখলেছুর রহমান মিন্টু ও সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা’র যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি চাল আত্মসাৎ ও দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমানকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

সেই সাথে গঠনতন্ত্র মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এক বিবৃতিতে সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশসহ ঘটনার সাথে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারন সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে র‌্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা নন্দীগ্রাম উপজেলার শিমলা গ্রামে আনিছুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার বাড়িতে ৫৮ বস্তা ও গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে ১১০ বস্তা চাল উদ্ধার করে। সেখান থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান ও তার সহযোগী ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় চালের ডিলারসহ তিন জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ