গরমে আরাম পেতে রোদচশমা

রোদ থেকে চোখের সুরক্ষায় সানগ্লাস বা রোদচশমা বেশ কাজের। বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন মডেল ও দামের রোদচশমা। রোদচশমায় পাওয়ার লাগিয়েও ব্যবহার করা যায়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আতিফ আতাউর

এখন বাইরে বেরোলেই রোদ।

গরমের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে রোদের তাপ। রোদ থেকে চোখের সুরক্ষায় দরকার রোদচশমা। বাইরের তীব্র সূর্যালোক থেকে চোখকে সুরক্ষা দেয় রোদচশমা।

শুধু যে রোদ থেকে সুরক্ষার জন্যই রোদচশমা পরবেন তা নয়, এটি ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবেও খুব জনপ্রিয়। আবার বাইরের ধুলাবালি ও পোকা-মাকড় থেকেও চোখকে রক্ষা করে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. দীপক নাগ জানান, ‘গরমে চোখের সুরক্ষায় রোদচশমা ব্যবহার উপকারী। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখের সুরক্ষা দেয়। তবে রোদচশমা একটু ভালো মানের হওয়া জরুরি। সস্তা ও প্লাস্টিকের রোদচশমা সহজে ভেঙে গিয়ে চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে। একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চশমা ব্যবহার করা উচিত। ’

বাজারে মিলছে নানা আকৃতি, নকশা ও রঙের রোদচশমা

রোদচশমা যে শুধু গরমেই পরতে হবে এমনটি নয়। সব সময়ই এটি ব্যবহার করা যায়। যাঁরা মোটরসাইকেল চালান, যাঁদের ধুলাবালিতে অ্যালার্জি আছে তাঁদের জন্য রোদচশমা অত্যাবশ্যকীয়। সাইকেল, মোটরসাইকেল চালনার সময় বাতাসে ধুলাবালি কিংবা পোকা-মাকড় উড়ে এসে চোখে সমস্যা তৈরি করে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রোদচশমা ব্যবহার করা জরুরি।

যাঁরা পাওয়ারযুক্ত চশমা ব্যবহার করেন তাঁরা চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে যেতে পারেন। অনেক দোকানে পাওয়ারযুক্ত রোদচশমা বানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এলিফ্যান্ট রোডের আই ভিশনের স্বত্বাধিকারী মাহফুজ আহমেদ জানান, এখন ছেলেদের ক্লাব মাস্টার, রে ব্যান, এভিয়েটর; মেয়েদের জন্য ক্যাটস আই, রিমলেস ফ্রেম ট্রেন্ডে এগিয়ে। আমাদের এখানে চক্ষু পরীক্ষা করেও নির্দিষ্ট পাওয়ারের রোদচশমা বানিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

রোদচশমা কেনার সময়

মুখের গড়ন ও চুলের স্টাইল বুঝে রোদচশমা কেনা দরকার বলে জানালেন শোভন মেকওভারের রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা। তাঁর মতে, রোদচশমাগুলো সাধারণত স্টাইলিশ লুকের হয়। তবে সব স্টাইল বা মডেল সবার মুখের গড়নের সঙ্গে মানায় না। গোলাকার মুখের অধিকারী হলে ওভাল শেপের রোদচশমা ভালো মানাবে। যাঁদের মুখ একটু বড় তাঁদের বড় রোদচশমাতেই ভালো দেখাবে। মুখের গড়ন ছোট হলে চিকন ফ্রেমের চশমা মানাবে। রোদচশমার গাঢ় রং খুব ট্রেন্ডি। লাল, নীল, সবুজ, কমলার মতো রঙের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। তবে কয়েকটা শেডের রোদচশমাও বিক্রি হচ্ছে খুব। রোদচশমার মধ্যে ক্লাব মাস্টার ফরমাল কিংবা ঘরোয়া দু্ইভাবে পরা যাবে। তবে এভিয়েটর ফ্রেম ফরমাল লুকে বেশি মানানসই।

কোথায় পাবেন, কেমন দাম

বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্কসহ অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডের রোদচশমা। ধানমণ্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুরের বড় বড় শপিং মলগুলোতেও পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডের রোদচশমা। দাম দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, বিজয় সরণি, মগবাজার, গুলিস্তান, স্টেডিয়াম মার্কেটে পাওয়া যাবে নন-ব্র্যান্ডের রোদচশমা। দাম পড়বে ১৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। বিভিন্ন অনলাইন শপেও রংবাহারি মডেলের রোদচশমা কেনা যাবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ