সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
খুলনার পূর্ব রূপসা ঘাটে মাইক্রোবাসের যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। যাত্রী পরিবহনকারী ওই মাইক্রোবাস কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আতিকুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী হাকিম আতিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত ঢাকায় যেতে পূর্ব রূপসা ঘাট থেকে কেওড়াকান্দি পর্যন্ত মাইক্রোবাসে যাতায়াত করে যাত্রীরা। মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু অভিযানের সময় দেখা গেছে, যাত্রীপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। তা ছাড়া একটি মাইক্রোবাসে যাত্রী ধারণক্ষমতা নয়জন হলেও তারা নিচ্ছে ১৪ জন করে।
তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় আরও দেখা গেছে যে যাত্রীদের মাইক্রোবাসের পরিবর্তে ফিটনেসবিহীন লোকাল মিনিবাসে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধার বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করছে না কর্তৃপক্ষ। এসব অপরাধে মাইক্রোবাসের কাউন্টারম্যান মো. আল আমিনকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় উপস্থিত ৩৫ জন যাত্রীকে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ডিসি খুলনা ফেসবুক পেজে যাত্রীদের ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়ার পর এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান নির্বাহী হাকিম।
এ ছাড়া ওই সময় অভিযানে অন্য একটি মাইক্রোবাসকে ৫ হাজার ১৫০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। খুলনা-সাতক্ষীরা রুটে ফিটনেসবিহীন, নিবন্ধনবিহীন ৯টি যানবাহনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিলেন খুলনা বিআরটিএ সার্কেলের সহকারী পরিচালক কামরুল ইসলাম।
সূত্র: কালের কণ্ঠ