খুনের মামলায় রাজশাহীতে তাঁতী লীগ নেতাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মহানগর তাঁতী লীগের সম্মেলন হয়েছে ক’দিন আগেই। যে কোন সময় ঘোষণা হতে পারে কমিটি। এমন অবস্থায় তাঁতী লীগের এক নেতাকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছেন, নতুন কমিটিতে তিনি যেন পদ না পান তার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুনের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।

এই নেতার নাম রাশিদুল হাসান রুপম। তিনি রাজশাহী মহানগর তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি। এবারও তিনি সভাপতি প্রার্থী। রোববার দুপুরে তিনি রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে প্রতিপক্ষরা তাকে খুনের মামলায় জড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন।

গত ২১ মার্চ রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকায় ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে রিয়াজুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলার রানা ও রনি নামের দুই আসামি তাঁতী লীগের নেতা বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে রাশিদুল হাসান রুপম বলেছেন, এরা তাঁতী লীগের কেউ না। তারা ছাত্রদল করেন বলেও তিনি দাবি করেন।

রুপম জানান, রিয়াজুল হত্যার পরদিন লাশ নিয়ে বিক্ষোভ হয়। সেখানে ব্যানারে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে কয়েকজনের ছবি দেওয়া হয়। সেদিন তার ছবি ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু পরে আরেকটি মানববন্ধন হলে তার ছবি ব্যবহার করা হয় অভিযুক্ত হিসেবে। অথচ তিনি হত্যা মামলার আসামি নন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে ব্যানারে তার ছবি দিয়ে এই মানববন্ধন করেছেন। এতে তার সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

রুপম বলেন, ‘কমিটি গঠনের ঠিক আগে সুনাম ক্ষুণ্ন করতে কৌশলে আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি তাঁতী লীগের নেতা বলে মামলার আসামি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত রানা ও রনিকেও তাঁতী লীগের নেতাকর্মী বলা হচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমিও চাই রিয়াজুলের প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়ুক এবং আইনের আওতায় আসুক।’

মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘রিয়াজুল হত্যা মামলার আসামি পাঁচজন। একজন গ্রেপ্তার আছে, অন্য চারজন পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলায় তাঁতী লীগের নেতা রাশিদুল হাসান রুপমের নাম নেই। তার ছবি কে বা কারা ব্যবহার করছে তা বলতে পারব না। আমরা আমাদের মত করে ঘটনা তদন্ত করছি। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিরাই আইনের আওতায় আসবে। অন্য কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।’

স/আর