‘খাসির মাংস আমি খুব ভালো রান্না করতে পারি’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাবা মায়ের ধর্ম অনুযায়ী আমি হিন্দু পরিবারে বড় হয়েছি। বিয়ের সূত্রে আমি এখন মুসলমান। বিয়ের পরে কয়েক বছর কোরবানির সময় শ্বশুরবাড়ি থাকার সুযোগ হয়নি। তবে বিয়ের চার বছর পর থেকে রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ আমি শ্বশুরবাড়ি কাটিয়েছি।

একটা সময় মনে আছে- আমার শ্বশুর-শাশুড়ি হজে গিয়েছিলেন। তখন পরিবারের সব কাজ আমার সামলাতে হয়েছে। কোরবানির আগেরদিন মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে পোলাউসহ অন্যান্য রান্না সেরে ফেলেছি। কারণ সকাল আটটার মধ্যে আমাদের কোরবানি দেয়া হয়ে যেত। কোরবানি হয়ে গেলে দশ কেজি মাংস আগেই বাসায় নিয়ে আসা হতো। মাংস আমি নিজ হাতে রান্না করেছি। আমাদের খাসিও কোরবানি করা হতো। পাঁচ-সাত কেজি খাসির মাংস বাসায় নিয়ে আসত। এই সুযোগে বলে রাখি, খাসির মাংস আমি খুব ভালো রান্না করতে পারি। রেসিপি মোটামুটি এরকম: মাংস ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। চর্বি-তেলগুলো আলাদা করে রাখতে হবে। আমি মাংসে চর্বি রাখি না। এরপর জয়ফল, জার্ফি, আদা বাটা, জিরা বাটা, রোশন বাটা, মশলাগুলো ভিজিয়ে নিয়ে একটা পেস্ট বানাই। এটাতে টক দই দেই কিন্তু হোয়াইট কালার খাসির মাংস রান্না করতে মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করি। হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করি না। এতে যে কালার আসে আমার কাছে ভালো লাগে। আর এটা শাকিবও পছন্দ করতো।

তবে রান্না করতে গিয়ে আমার ভুলও হয়েছে। প্রথম দিকে আমি তেমন রান্না করতে পারতাম না। আমার মনে আছে একবার খিচুড়ি রান্না করতে গিয়ে দেখা গেল সেদ্ধ হয়নি। এমন ভুল কিছুদিন হয়েছে। এরপর আমার রান্না এতটাই ভালো হয়েছে যে, শ্বশুরবাড়ির সবাই রান্না পছন্দ করতো। এভাবে একসময় আমি পাকা রাঁধুনী হয়ে উঠি। এখন আমার রান্না খাওয়ার নতুন মুখ এসে গেছে- আমার ছেলে। আমি চাইবো আমার ছেলেকে সব ধরনের খাবার নিজে রান্না করে খাওয়াতে। বাইরের খাবার ওকে বেশি খাওয়াব না। এবারের ঈদের পর দিন ঢাকা ফিরবো। এবার আমি তিনটা খাসি কোরবানি করেছি।