কোহলি-কুম্বলে সংঘাতের কারণ এটাই?

পাকিস্তানের কাছে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে হারের পরে প্রধান কোচ হিসেবে কুম্বলের সরে দাঁড়ানো ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম বিতর্কিত অধ্যায়। দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যেই সরে দাঁড়াতে হয় কুম্বলেকে। বিরাট কোহলির সঙ্গে তীব্র সংঘাতের কারণেই যে কুম্বলে দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, সেটা ‘ওপেন সিক্রেট’। কিন্তু কী নিয়ে তাঁদের মাঝে ঝামেলা ছিল, সেটা পরিষ্কার নয়।

এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন রত্নাকর শেঠি।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট রত্নাকর শেঠি তাঁর বই, ‘অন বোর্ড : টেস্ট, ট্রায়াল, ট্রায়ামফ, মাই ইয়ার্স ইন বিসিসিআই’-এ এই বিষয়ে খোলাখুলি মতামত জানিয়েছেন। নিজের বইয়ের বিষয়ে রত্নাকর শেঠি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘২০১৭ সালের ১৮ জুন অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের পর কুম্বলের পদত্যাগ ভারতীয় ক্রিকেটের অস্বচ্ছতাকে সামনে এনেছে। যেটা ধীরে ধীরে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলের কার্পেটের তলায় প্রবেশ করেছিল। ‘

শেঠি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘অনেকেই চায়নি কুম্বলে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাক। অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে কোচের মতপার্থক্য বেড়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে অধিনায়কই শেষ হাসি হাসে। ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানো না নিয়ে কুম্বলের প্রতি অভিযোগ ছিল কোহলির। কোচ-অধিনায়কের এই সংঘাতে ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছিল। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যে ফাইনালে আমরা পাকিস্তানের কাছে হারি, সেই ম্যাচে নামার আগে লন্ডনে একটা সভা হয়। যে সভার কথা আমি পরে জানতে পারি। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরাট কোহলি, অনিল কুম্বলে, রাহুল জোহরি, অমিতাভ চৌধুরী ও ডক্টর শ্রীধর। আপাতভাবে মনে হয়েছিল ক্রিকেটারদের পাশে না দাঁড়ানোয় এবং ড্রেসিংরুমে টেনশন তৈরি করায় কুম্বলের ওপর মোটেই খুশি ছিলেন না কোহলি। ‘

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ