কোরবানি: রাজশাহীতে এক লাখ পশু উদ্বৃত্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:


কোরবানি আসন্ন। ইতোমধ্যেই পশুহাটগুলোতে জমজমাট বেচাকেনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।  করোনালগ্নে সবধরনের সমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু কোরবানির পশুহাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব কতটা মানা সম্ভব হবে- এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর অনলাইনে কোরবানির পশু বেচা-কেনা বিকিকিনির ওপর গুরুত্বরোপ করছে। আর অনলাইনে চাহিদামত পশু ক্রয়-বিক্রয় কতটা সম্ভব হবে?


রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় গরু-মহিষ রয়েছে প্রায় এক লাখ। এর মধ্যে ছাগল রয়েছে দুই ২৮ হাজার। অন্যান্য রয়েছে ৪২ হাজার। সবমিলে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার। উদ্বৃত্ত থাকবে এক লাখ গবাদি পশু।

এদিকে, গত ৯ জুলাই আগামী ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এনিয়ে দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় করণীয় বিষয়ে কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মেয়র লিটন বলেন, ইদুল আজহা উপলক্ষে পশুহাটে বিপুল মানুষের সমাগম ঘটবে। পশুহাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এবিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অন্তিম কুমার সরকার জানান, ‘জেলায় পর্যান্ত পরিমাণে গবাদি পশু রয়েছে। রাজশাহী জেলায় কোরবানি ইদে দুই লাখ গবাদি পশুর প্রয়োজন পড়ে। আর রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোরবানির জন্য উপযুক্ত পশু। এবছর প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে গবাদি পশু আসবে না- এমন কথা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আমাদের।’

হাট খোলা হলে কতোটা স্বাস্থ্য বিধি মানা সম্ভব এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা বড় বড় খামারিদের অনলাইনে পশু বিক্রির পরামর্শ দিয়েছি। এতে হাটের উপরে চাপ কমলে করোনা সংক্রমণ কম হবে।’ তিনি জানান, ‘দেশের খামারি ও সাধারণ মানুষ আশা করে ইদের তিন থেকে চার মাস আগে গরু লালন-পালন শুরু করে। কোরবানিতে বিক্রি করে কিছু লাভের আশায়। তাদের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের। তবে জেলায় যে পরিমাণে গবাদি পশু আছে তাতে সঙ্কট হওয়ার কথা নয়।’

 

স/আ