কেকেকে নিয়ে যেসব তথ্য জানা নেই অনেকের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

মঞ্চে উঠেছিলেন গান গাইতে। শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে, আনন্দ দিতে।  কিন্তু নজরুল মঞ্চের শ্রোতাদেরসহ ভারতের সংগীতপ্রেমীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন কেকে।

নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে দু-ঘন্টা ধরে পারফর্ম করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৃথিবীকে বিদায় জানান কেকে।

‌‘হাম রাহে ইয়া না রাহে পাল’ খ্যাত গায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্দ ভারতের শোবিজ অঙ্গন। অভিজিত, অরিজিত, কুমার শানু থেকে শুরু করে কেউই এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না দুঃসংবাদটি।

কেকের পুরো নাম কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ।  যদিও এ নামে খুব কম মানুষই তাকে চেনে।  তার অনেক গান মানুষের মুখে মুখে ফিরলেও ব্যক্তি কেকে বেশির ভাগ সময়ই থেকেছেন প্রচারের আড়ালে।

অনেকেই জানেন না, ছোটবেলা থেকেই গায়ক হওয়ার স্বপ্ন বুনতেন কেকে। ছোটবেলায় কিশোর কুমার বলতে পাগল ছিলেন কেকে। কিশোর ছিলেন তার প্রথম প্রেরণা।  কিন্তু তার ক্যারিয়ারের শুরুটা ভিন্নভাবে। হোটেলের কাজে যুক্ত ছিলেন কেকে। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে প্রথাগত কোনো শিক্ষা ছিল না তার। কয়েকবার গানের স্কুলে ভর্তি হলেও পরে যাওয়া বন্ধ করে দেন। গানের স্বপ্ন সত্যি করতেই ১৯৯৪ সালে মুম্বাইতে যান তিনি।

একটা সময় চাকরি নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন কেকে। একটি কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।  বিয়ে করবেন বলেই চাকরিটা করতেন কেকে।  বিয়ের কয়েক মাস পর বুঝতে পারেন এ কাজ তার জন্য নয়।  তার লক্ষ্য বলিউডে প্লেব্যাক।  কিন্তু চাকরি ছাড়লে খাবেন কি? তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে ভুগছিলেন হতাশায়। পরে বাবার পরামর্শে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে আসেন।

সংগীতভূবনের বিস্ময় কেকে। কোনো শিক্ষকের কাছে গানের তালিম না নিয়েও ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী হয়ে ওঠেন কেকে।

গান না শিখে কি করে এতো আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল তার মধ্যে?

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছিলেন কেকে।  বলেছিলেন, তিনি শিখেছেন মূলত গান শুনে শুনে। পরে যখন জানতে পারেন তার আদর্শ কিশোর কুমারেরও গানে প্রথাগত শিক্ষা নেই, তখন নিজেও চোখ বুজে নেমে পড়েন প্রতিযোগিতায়।

শুরুতেই বলিউডে তোলপাড় ফেলে দিতে পারেননি কেকে। সে সুযোগও হয়নি তার।

শুরে জিঙ্গেল শিল্পী হিসেবেই যথেষ্ট নাম করেন।  প্রথম অ্যালবাম মুক্তির আগেই তার সাড়ে তিন হাজার গানে কণ্ঠ দেওয়া হয়ে যায়।  ‘পাল’ অ্যালবাম দিয়ে নজর কাড়েন কেকে। তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি।

 

সুত্রঃ যুগান্তর