বুধবার , ১৩ অক্টোবর ২০২১ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কানের সাজে ঝুমকা

নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১২:১১ অপরাহ্ণ

গহনার সাজে প্রকাশ পায় নারীর সৌন্দর্য। তাই যুগের পর যুগ ধরে নারীর সাজের ক্যানভাসে থাকে নানান গহনা। সেই আদিকাল থেকে গহনা নারীর সাজের ভূষণ। তাই একে ঘিরে থাকে নানা পরিবর্তন আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার এক অভিব্যক্তি। বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে যেকোনো অনুষ্ঠানে সাজের ডালায় থাকে তাই গহনা।

সময়ের চাকায় ফিরে তাকালে দেখা যাবে আগে নারীর সাজের গহনায় মাটি, তামা, পিতল, পাতা, গাছের বাকলসহ নানা কিছুর প্রাধান্য থাকতো সবার ঊর্ধ্বে। এরপর আসে স্বর্ণের ব্যবহার। শুরু হয় নানা আকৃতির আর ডিজাইনের নকশা করে গহনা তৈরির পালা। গলার হার, মাদুলি, টিকলি, টায়রা, সীতাহার, পাটিহার, কন্ঠহার, হাতের বালা, নাকের নোলক কত গহনাতেই নারী সাঁজায় তার নিজেকে। আর এসব গহনাও যেনো তার সাজের সঙ্গি হতে নানা রঙ্গে-ঢঙ্গে আর নামে আসে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে। তবে কিছু গহনা তার নিজের অবস্থানেই যেনো শ্রেষ্ঠ। তার নিজস্বতায় রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ।

গহনার এই ভিড়ে ঠিক তেমনি সাজের গহনা হচ্ছে ঝুমকা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এতে পরিবর্তন এলেও নানা সময়ে আর যেকোন সাজের সাথে খুব সহজে মানিয়ে যায় ঝুমকা। একটি সময় কেবল শাড়ির সাথে ঝুমকা পরা হতো। তবে বর্তমানে সেই ধারাতে এসেছে পরিবর্তন। রুচি আর অভিব্যক্তির মিশ্রণে ঝুমকা তার জায়গা কেড়ে নিয়েছে নারীর সাজের যেকোনো ভূষণে। গহনার এই ধারাতে পরিবর্তন এলেও ঝুমকাতে রয়েছে আধিপাত্য থেকে শুরু করে রাজকীয় একটি সাজ। এমনটি মনে করেন দ্য জুয়েলারি প্যালেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গয়না ডিজাইনার লায়লা খায়ের কনক। তিনি বলেন, যারা খুব কম সাজে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান তাদের জন্য ঝুমকা হতে পারে সঠিক নির্বাচন। এটি খুব সহজে যেমন পোশাকের সাথে মানিয়ে যায় তেমনি এর আকৃতির পরিবর্তন আর নানা ডিজাইনের জন্য এটি বর্তমানে সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

ঝুমকার ব্যবহার এই অঞ্চলে নতুন নয়। এর ব্যবহার চলে আসছে অনেক আগে থেকেই। আর সেই সময় থেকে স্বর্ণ, রুপা, তামায় নানা ডিজাইনে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছে ঝুমকা। ঝুমকা একটি সময় কেবল এক তারের বেষ্টনীতেই আবদ্ধ করে পরা হতো। তবে বর্তমানে এতে যুক্ত্য হয়েছে নানা ডিজাইন। একটি তারের বৃত্ততে অনেকগুলো ছোট ছোট ঝুমকা একত্রিত করে প্রায় পরতে দেখা যায় ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের সাজে।

এছাড়াও তামা, ব্রোঞ্চ, পিতল, কাসা, স্বর্ণ, রুপা থেকে শুরু করে গোল্ড প্লেটের উপর নানা ডিজাইন করে তৈরি করা হয় একেকটি ঝুমকা। এর সাথে আরো আছে নানা নকশাও। পাতালতা ছাড়া জ্যামিতিক নকশা, ফুল পাখির কারুকাজ যেন ঝুমকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তোলে শতগুণ।

এছাড়া এতে থাকে পাথরের কাজ, পুঁতির কাজ আবার কখনো স্টোনের কাজও। কিছু কিছু ঝুমকাতে থাকে চেইন; যা খোপা কিংবা মাথার চুলের সাথে আটকিয়েও পরা যায়। আবার কিছু ঝুমকাতে ছোট-বড় নানা আকৃতির চেইন আর তাতেও ঝুমকা বসিয়ে তৈরি করা হয়।

এছাড়া গোল আকারের ঝুকমাতে আরো অনেকগুলো ছোট ছোট আকৃতির পাথর আর রুপার কাজ করা ঝুমকা বসিয়েও তাকে দেওয়া হয়েছে আরো নান্দনিকতা। অন্যদিকে গোল আকৃতির ঝুমকা ছাড়াও রয়েছে চারকোণা, ত্রিকোনা আর বক্স আকৃতির নানান ধরনের ফ্যাশনেবল ঝুমকা।

 

সূত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর