কানাডা বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার দীর্ঘ সারি, চরম বিশৃঙ্খলা

শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত যাত্রী ব্যতীত বাকি সব যাত্রীর করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে কানাডা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে সব যাত্রীকেই যদি বিমানবন্দরের ভেতরেই করোনা টেস্ট করাতে হয় তাহলে এটা নিয়ে ঝামেলা পোহাতে কর্তৃপক্ষকে- ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ কারণে এর মধ্যেই সেখানে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে।

উদ্যোক্তারা বলছে, এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে ব্যাপারে গত মঙ্গলবারেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

কানাডিয়ান এয়ারপোর্ট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল গুচ বলেন, বহিরাগত সব যাত্রীকে এক সঙ্গে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এ জন্য অবশ্যই দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে। কি মনে হয়, আমরা কি চাই যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করুন? না, চাই না। কিন্তু যাত্রীদের নিরাপদ এবং স্বস্তিদায়ক ভ্রমণের জন্য এটা অবশ্যই জরুরি। আমরা এটাকে কোনোভাবেই এড়াতে পারি না।

মঙ্গলবার কানাডা কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা অন্য দেশ থেকে আসা সকল বিমানযাত্রীর করোনা পরীক্ষা করবে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীদের বাদে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তাররোধে এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় তারা। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে আর এটি করছে সরকারি ও বেসরকারি কর্তৃপক্ষ মিলে।

সামনে দীর্ঘ ছুটির সময় আসছে আর এ কারণেই এই ছুটিকে নিরাপদ করার জন্য বিমান চলাচল ক্ষেত্রে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার এই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলো।

তবে কানাডার জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলেনি। আর এ কারণে এভিয়েশন ও হেলথ অথরিটির মধ্যে সমন্বয়হীনতা ঘটছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

কানাডার সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র টোরি গাস বলেন, অন-সাইট এবং অফ-এয়ারপোর্ট পরীক্ষার একটি সমন্বয়সাধন জরুরি। পরীক্ষাগুলোর পরিমাণের বিষয়টিও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।

এর মধ্যে কিছু ভ্রমণকারী, যারা কয়েক সপ্তাহ আগে শিথিল বিধি-নিষেধের মধ্যে ভ্রমণ বুক করতে এসেছিলেন, তারা এবার দ্বিতীয় চিন্তা করছেন।

ট্র্যাভেল সিকিউর ইন্স্যুরেন্সের মার্টি ফায়ারস্টোন ‘ভ্রমণের ল্যান্ডস্কেপ আরো ভালো হচ্ছে’ মন্তব্য করে বলেন, আমি বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের জানি যারা ভ্রমণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি এখন দেখছি, তাদের কতটা রিফান্ড করা যায়। তিনি বলেন, এখন আমরা দুই ধাপ পিছিয়ে গেছি।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ