করোনা রোধে কাবা প্রাঙ্গণে রোবটে জমজম পানি বিতরণ

করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে পবিত্র মসজিদুল হারামে জমজম পানি বিতরণ করছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবট। মানুষের কোনো ধরনের স্পর্শ ছাড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট দিয়ে জমজম পানির বোতল দেওয়া হচ্ছে। জমজম পানি বিতরণ বিভাগের উপ-প্রধান বাদর আল লুকমানি একথা জানান।

আরব নিউজের খবরে জানা যায়, এক চক্করে প্রতি ১০ মিনিটে রোবটের সাহায্যে সরবরাহ করা যায় ৩০ বোতল জমজম পানি। একাধারে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এসব রোবট সরবরাহের কাজ করতে পারে। তাতে লোড করতে সময় নেয় মাত্র ২০ সেকেন্ড। ফলে জমজম পানি সংগ্রহে কোনো ধরনের সমাগম বা সংঘর্ষ বাধবে না। তাছাড়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ইউরোপীয়ান সিএস সার্টিফিকেশনসহ একাধিক প্রশংসাপত্র পেয়েছে এ প্রকল্প।

বাদর আল লুকমানি বলেন, পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন নিরাপত্তা সেবা দিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর তাই মসজিদের ভেতর ব্যাগ বহনে ব্যাপকভাবে রোবট ব্যবহারের কাজ চলমান আছে।

এর আগে গত বছর ১৩ জুন কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে পবিত্র মসজিদুল হারামে জমজম পানি বিতরণে রোবট চালু করা হয়। মক্কা ও মদিনার দুই মসিজদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস তা উদ্বোধন করেন।

এর আগে পবিত্র মসজিদুল হারামে জীবাণুমুক্ত রাখতে ১০টি অত্যাধুনিক রোবট চালু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহারের সাহায্যে মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অত্যাধুনকি এ রোবটের সাহায্যে একাধারে ৫-৮ ঘণ্টা জীবাণুমুক্ত রাখার কাজ করা যাবে।

জমজম মক্কার মসজিদুল হারামের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ। পবিত্র কাবা থেকে এই কূপের মধ্যে মাত্র ৩৮ গজের দূরত্ব। হজ ও ওমরা আদায়কারী এবং সব মুসলিমদের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করিম (সা.) জমজম থেকে পানি পান করেছেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ